শেষ মুহূর্তে জমেছে রাজশাহীর ঈদবাজার

বেচা-কেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। ছবিটি আরডিএ মার্কেটের

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাণিজ্য

শেষ মুহূর্তে জমেছে রাজশাহীর ঈদবাজার

  • বিজয় ঘোষ, রাজশাহী
  • প্রকাশিত ৯ জুন, ২০১৮

ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে রাজশাহীর ঈদবাজার। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে দোকানগুলোয়। দেশি-বিদেশি নানা কাপড়ের মধ্যে নিজের পছন্দের কাপড়টি বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। এ বছর রাজশাহীর ঈদবাজারে ভারতীয় সিরিয়ালের নামধারী পোশাক না থাকলেও ভারতীয় অন্য পোশাকে ছেয়ে গেছে। ঈদের বেচাকেনার জন্য দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।

দোকানিরা জানান, এ বছর ভারতীয় সিরিয়ালের নামানুযায়ী কোনো পোশাক না থাকলেও বাজারে রয়েছে অন্য ভারতীয় পোশাক। এ পোশাকগুলোর চাহিদা অনেক বেশি। এবার ঈদে তরুণীদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে জিপসি, টপস, ফ্রগ, কোটি, ওয়ান পিস, টুপিস, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, ফ্লোরটাচ, শর্ট টপস, লেডিস প্লাজো, জেগিন্স ইত্যাদি। সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পোশাকগুলো।

নগরীর আরডিএ এবং নিউমার্কেটের দিকে এখন মানুষের স্রোত। ঈদের আগে অনেকেই সেরে ফেলতে চাইছেন ঈদের কেনাকাটা।

নগরীর সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা তামান্না বেগম, আরিফা বেগম, ঝরনা বেগম জানান, স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করছেন। তিনি একটি থ্রিপিস কিনেছেন আর সন্তানদের জন্য কেনা শেষ করেছেন। তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম কিছুটা বেশি।

নগরীর আরডিএ মার্কেটের রঙ-বেরঙের ফ্যাশন হাউজের মালিক উদয় দত্ত জানান, এবার ঈদে নারীদের পোশাকের ক্ষেত্রে ভারতীয় ‘ওয়ান পিস’ এসেছে। এটি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত। থ্রিপিস ‘ফ্লোরটাচ’ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। তরুণীদের প্লাজো-পাজামা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ৮০০০ টাকায়। এ ছাড়া পাকিস্তানি লোন ৮০০ থেকে ২২০০ এবং দেশি থ্রিপিস ৬৫০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

নিউমার্কেটের নিউ কালেকশনের মোহাম্মদ আলী জানান, এখানে ছোট মেয়েদের সারারা, পার্টি ফ্রক, স্কার্ট, ডিভাইডার ও জিপসি ১৮০০ থেকে ৪০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছেলেদের জিন্সের প্যান্ট, শার্ট ও টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায়। এ ছাড়া তরুণদের জন্য নতুন কিছু গ্যাবার্ডিন প্যান্ট এবং শার্টও বাজারে এসেছে। এগুলো সুলভ মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads