শান্তিতে নোবেল পেলেন কঙ্গোর মুকওয়েগে ও ইরাকের নাদিয়া

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইরাকের কুর্দি মানবাধিকারকর্মী নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

শান্তিতে নোবেল পেলেন কঙ্গোর মুকওয়েগে ও ইরাকের নাদিয়া

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৬ অক্টোবর, ২০১৮

যুদ্ধকালে যৌন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ২০১৮ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইরাকের কুর্দি মানবাধিকারকর্মী নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে। গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুরস্কারজয়ী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুজনের নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি।

ঘোষণায় কমিটি বলে, নাদিয়া ও মুকওয়েগে যুদ্ধকালে এবং সশস্ত্র সংগ্রামের সময় যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মানবাধিকারকর্মী নাদিয়া ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মুকওয়েগে পুরস্কার হিসেবে একটি করে সোনার পদক পাবেন। আর পুরস্কারের অর্থ ৯০ লাখ সুইডিস ক্রোনার ভাগ করে নেবেন দুজনে।

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ছোট্ট গ্রাম কোচোতে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন ইয়াজিদি বা কুর্দি সম্প্রদায়ের তরুণী ২৫ বছরের নাদিয়া মুরাদ বাসে তাহা। ২০১৪ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ঢুকে পড়ে ওই গ্রামে। একদিন গ্রামের সবাইকে অস্ত্রের মুখে একটি স্কুলে ঢোকানো হয়। পুরুষদের আলাদা করে স্কুলের বাইরে দাঁড় করিয়ে মুহুর্মুহু গুলিতে নাদিয়ার ছয় ভাইসহ সব পুরুষকে হত্যা করা হয়। এক পর্যায়ে তার মাকেও হত্যা করে আইএস। এরপর আইএস জঙ্গিরা নাদিয়া ও অন্য নারীদের একটি বাসে করে মসুল শহরে নিয়ে যায়। সেখানে যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি হন নাদিয়াও। আইএসের যৌনদাসী হিসেবে বেশ কিছুদিন থাকার পর পালিয়ে আসেন তিনি। আইএসের কাছ থেকে পালিয়ে আসার পর নাদিয়া মুরাদ জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হন।

মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনির সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের হাতে বন্দি ইয়াজিদি নারী ও যারা পালিয়ে এসেছেন, তাদের নিয়ে কাজ করছেন নাদিয়া।

নোবেল কমিটি বলেছে, নাদিয়া এত কষ্ট সহ্য করেও অন্যদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাহস দেখিয়েছেন।

অপরদিকে, ডেনিস মুকওয়েগে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুকাভুতে ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করা পাঞ্জি হাসপাতালের পরিচালক। এখানে প্রতিবছর হাজার হাজার নারী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন, যাদের প্রায় সবাই ধর্ষণসহ অন্যান্য যৌন সন্ত্রাসের শিকার। আক্রান্তদের অনেকের অবস্থা এতটাই খারাপ থাকে যে, তাদের সার্জারি করতে হয়। মুকওয়েগে ও তার সহকর্মীরা সেসব নারীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর অসলোতে নোবেল প্রবর্তনকারী আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে নাদিয়া ও মুকওয়েগেকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।

গত সোমবার চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২০১৮-এর নোবেল মৌসুমের শুরু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads