বিবর্তনের ক্ষমতায় ‘লাগাম’ পরিয়ে রসায়নে নোবেল জয়

ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড, জর্জ পি স্মিথ, স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিবর্তনের ক্ষমতায় ‘লাগাম’ পরিয়ে রসায়নে নোবেল জয়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৪ অক্টোবর, ২০১৮

বিবর্তনের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রোটিন উন্নয়নের সফল গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল জিতেছেন এক নারীসহ তিন বিজ্ঞানী। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স উল্লিখিত ক্ষেত্রে এবারের নোবেল জয়ী হিসেবে মার্কিন বিজ্ঞানী ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড ও জর্জ পি স্মিথ এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার গ্রেগরি পি উইন্টারের নাম ঘোষণা করে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আগামী ১০ ডিসেম্বর তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। নোবেল কমিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা আসলে বিবর্তনের ক্ষমতায় লাগাম পরানোর মধ্য দিয়ে প্রাণীদেহের দুটি প্রোটিনের উন্নয়নের দিশা দেখিয়েছেন। যার মাধ্যমে রসায়নঘটিত সমস্যা সমাধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এনজাইমের বিবর্তন নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনারের মধ্যে ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড অর্ধেক এবং অ্যান্টিবডি ও পেপটাইডের ধাপ প্রদর্শন করার জন্য যৌথভাবে স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার ও জর্জ পি স্মিথ পুরস্কারের বাকি অর্ধেক অর্থ পাবেন। এই তিন বিজ্ঞানীর গবেষণা নতুন ওষুধ তৈরি ও জৈব জ্বালানি তৈরিতে অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে ওই বিজ্ঞাপ্তিতে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী ফ্রান্সেস এইচ পঞ্চম নারী হিসেবে রসায়নে নোবেল জিতলেন। আরনল্ড ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হওয়ার পর সবশেষ ২০০৯ সালে এডা ইউয়োনাথের সঙ্গে যৌথভাবে এই খাতে পুরস্কার পেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর থেকে এবারের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন চিকিৎসা বিজ্ঞান, ২ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, গতকাল বুধবার ঘোষণা করা হয় রসায়নে নোবেল জয়ীদের নাম। এরপর পর্যায়ক্রমে শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে এ বছর রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার স্থগিত করেছে।

ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী ১৯৫৬ সালে দেশটির পিটসবার্গে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে বার্কলের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং ও জৈব রাসায়নে অধ্যাপনা করছেন।

জর্জ পি স্মিথ

যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞানীর জন্ম দেশটির নরওয়াক শহরে ১৯৪১ সালে। ১৯৭০ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ভূতপূর্ব অধ্যাপক।

স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার

যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রেগরি পি উইন্টার লিচেস্টারে জন্ম নেন ১৯৫১ সালে। পিএইচডি ডিগ্রি পান ১৯৭৬ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। তিনি বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকুলার বায়োলজির ভূতপূর্ব অধ্যাপক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads