একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে নিজের আশাবাদের কথা নিজের ভোট দিয়েই জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, আমি নির্বাচনে আমাদের জয়ের বিষয়ে সব সময়ই আশাবাদী। জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস রয়েছে এবং জানি তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তারা আমাদেরই পছন্দ করবে। তবে তিনি বলেছেন, তারা যেকোনো প্রকার জনরায় মেনে নিতেও প্রস্তুত। রাজধানী ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আই অ্যাম অলওয়েজ কনফিডেন্ট। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার বিশ্বাস, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তির জয় হবে। স্বাধীনতার পক্ষের জয় হবে। উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। আমি জানি বাংলার জনগণ আমাদের বেছে নেবে। নৌকার জয় হবেই হবে।
নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কাল সারারাত পরিস্থিতি মনিটর করেছি। কয়েকটি জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে। এগুলো খুবই দুঃখজনক। আমাদের চারজনকে হত্যা করেছে। হত্যা করার ধরন একই রকম। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমাদের ১০ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা সহিংসতা চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরাই নির্বাচনে জয়লাভ করবে।
নির্বাচনে ফলের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তার দল গণতন্ত্র এবং জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কাজেই জনগণ যে রায় দেয় আমরা তা মেনে নেব। জনগণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তার দল আওয়ামী লীগকে পুনর্নির্বাচিত করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং আমি বিশ্বাস করি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য জনগণ নৌকায় ভোট দেবে এবং আরেকবার তাদের সেবা করার জন্য আমাদের সুযোগ দেবে। আমরা আশা করি যেসব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে সক্ষম হব। আমি মনে করি নৌকা অবশ্যই জয়যুক্ত হবে।
প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সভাপতি সকল ভোটার, প্রার্থী এবং দলের নেতাকর্মীদের প্রতি ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত করতে পারি তাহলে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা উন্নয়নের গতিটা ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
তার দল একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো সহিংসতা চাই না, আমরা চাই জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, যেটা তাদের নাগরিক অধিকার। তারা তাদের ইচ্ছেমতো ভোট প্রদান করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। দেশে বিরাজমান নির্বাচনের পরিবেশের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার দল একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশী। যেহেতু অতীতে সমারিক শাসনামলে ভোটের অধিকার আদায় করতে গিয়ে দেশের জনগণ অনেক লড়াই সংগ্রাম করেছে। আমরা একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছি যেখানে জনগণ কোনো রকম বাধা বিঘ্ন ছাড়াই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
শেখ হাসিনা এ সময় নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে আশাবাদের অংশ হিসেবে ‘ভি সাইন’ (ভিক্টরি সাইন) প্রদর্শন করেন। এর আগে সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি কলেজ ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোটার হিসেবে ভোট দেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল তার সঙ্গে ছিলেন।