‘আ.লীগ অফিসে হামলায় অনুপ্রবেশকারীরা’

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নয়, অনুপ্রবেশকারী দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

‘আ.লীগ অফিসে হামলায় অনুপ্রবেশকারীরা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৫ অগাস্ট, ২০১৮

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নয়, অনুপ্রবেশকারী দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। হামলার ঘটনার পর গতকাল শনিবার বিকালে ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় প্রশিক্ষিতরা জড়িত ছিল। যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সাধারণ ছাত্রছাত্রী নয়, তারা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের। এ সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, তাদের হাতিয়ার বানিয়ে কেউ যেন কোনো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে না পারে, এজন্য সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

কাদের বলেন, ‘কারা এই সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন। আমাদের কাছে তথ্য আছে, নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন অপরাজনীতির মাধ্যমে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।’ দুপুরের ওই ঘটনার আগেই ওই কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ওবায়দুল কাদের।

আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া সুলতান সোলায়মান নামে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের এক সহসভাপতির ছবি দেখিয়ে কাদের বলেন, ‘সন্ধ্যার পর এই কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা যখন বেশি থাকে না, তখন এদের মধ্যে এই অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে যায়। তখন তাদেরকে বাস ভাঙচুরের উসকানি দেওয়া হয়। রাজনৈতিক ঘৃণ্য মতলব নিয়ে আজকে এই আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে যৌক্তিক আন্দোলনকে অযৌক্তিক ধারায় প্রবাহিত করার জন্য, তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এখন তারা স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক বিষবাষ্প ঢুকিয়ে দেশে একটা বিশৃঙ্খলা করতে চাইছে।’

সরকার অনুপ্রবেশকারীদের কেন আইনের আওতায় আনছে না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ধৈর্যের সঙ্গে সব কিছু অবজার্ভ করছি। তাদের ভূমিকা অবলোকন করছি। যারা আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের ছবিও পুলিশ ও গোয়েন্দাগুলো সংগ্রহ করছে। তাদের গতিবিধি আমরা রাজনৈতিকভাবেও দূর থেকে দেখছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো দমনমূলক পদক্ষেপ এই ছোট ছোট বাচ্চাদের ওপর নেওয়া যাবে না। এ কারণে পুলিশ নানা অপমান-অপদস্ত এবং হয়রানির শিকার হয়েও ধৈর্যের প্রয়াস দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক অপশক্তির মদত যে আছে সেটা আমরা কাছ থেকে লক্ষ করছি। আমাদের বিশ্বাস, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে। দুই-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’ ছাত্রছাত্রীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের শুভবুদ্ধির অনেকেই বলেছেন সরকার দাবি মেনে নিয়েছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads