চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা থেকে গত সাত দিনে পুলিশ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৭৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এছাড়া ৪০০ নেতাকর্মীর নামে ও বেনামে এক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা হামলার কারণে নেতাকর্মীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ রাতের বেলায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশী করছে, নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মমিনুল হক এসব অভিযোগ করেন।
ইঞ্জি. মমিনুল হক বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম সাহেব ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে এবং ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সন্ত্রাস ও প্রশাসনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হতে চান। কিন্তু হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মানুষ এটি মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজারে গণসংযোগস্থল থেকে ১৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পূর্বের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। যার মধ্যে একজন ভাতাপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী রয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও, সুহিলপুর ও ছয়ছিলা গ্রামে এসআই জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পুলিশ তার গণসংযোগ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ১৫ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজারে গণসংযোগে আসা নেতাকর্মীদের উপরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ২০জন নেতাকর্মী গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন।
মমিনুল হক বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলাপ্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লেখিত বিষয়ে বক্তব্য রাখি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রচারণার ক্ষেত্রে সমঅধিকারের বিষয়ে আমাকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন হয়নি। কারণ ১৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জের গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়ন ও শাহরাস্তি দোফল্লা বাজারে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা করে। ওই স্থান থেকে আমাদের ৪জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পুলিশের আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা আমার নিরাপত্তার জন্য এসেছেন এবং নেতাকর্মীদের গণসংযোগস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ হোসেন মোল্লা, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, এম এ রহিম পাটওয়ারী, আবু সুফিয়ান রানা, এম এ নাফের শাহ্সহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।