সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নে দেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তিন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই রাতেই থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে মামলায় উল্লেখিত নামাঙ্কিত ব্যক্তিগণ দেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বিদ্যালয়ের দরজা পুড়ে যায়। আশপাশে থাকা লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অগ্নিসংযোগকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে রাত ২টার দিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামালসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের নামে থানায় মামলা করেন সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান। ওই দিন রাতেই পুলিশ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, ,সেলবরষ ইউনিয়নে বিএনপির নেতা আলী আমজাদ চৌধুরী রিপন ও উপজেলা যুবদলে যুগ্ন আহাবয়ক শাহ আলম মির্জা নামের তিনজনেক গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধর্মপাশা থানার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, আটক তিনজনই মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। থানায় মামলা হওয়ার তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি নজির হোসেন বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে অহেতুক গ্রেফতার করাসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি’। তিনি আরো বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে দুর্বল করার লক্ষেই এবং সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বিএনপির ওই সব নেতাকর্মীদেরকে এভাবে গ্রেফতার করছে’।