ছবি: ইন্টারনেট

আমদানি-রফতানি

থাই মন্ত্রীকে তোফায়েল আহমেদ

৩৬ পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৪ মে, ২০১৮

তৈরি পোশাক, ওষুধসহ আরো ৩৬ পণ্য রফতানিতে থাইল্যান্ডের কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় সফররত থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ ও সংস্কারবিষয়ক মন্ত্রী কুশেক পুটরাকোলের নেতৃত্বে থাই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ সুবিধা চেয়েছেন। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে ৬ হাজার ৯৯৮ পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। গত অর্থবছর বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৪ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময় আমদানি করেছে ৭৮ কোটি ১৬ লাখ ডলারের পণ্য।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে থাই ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালে উভয় দেশের বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র থাইল্যান্ড। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। গত বছর বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল। এ বছর আরো বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুত করছে। বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে থাইল্যান্ডে ওষুধ রফতানি বাড়বে। বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বাড়ছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের মোট রফতানি ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের ১০০ প্রকল্পে প্রায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। সরকার থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দিতে চায়। এ ছাড়া বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পনগরীতে বিনিয়োগ করলে রফতানি ক্ষেত্রে সরকার প্রদত্ত নগদ আর্থিক সহায়তা থাই বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হবে।

এ সময় থাই বিনিয়োগমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী থাইল্যান্ড। বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন, ফাইন্যান্স, উৎপাদনসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিশ্বসেরা। আগামীতে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে থাইল্যান্ড।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীস বসু, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিসেস সাঈদা মুনা তাসনিম, থাইল্যান্ডের ডেলিগেশন সদস্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads