বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

কক্সবাজারে ওয়াইফাই জোন

৩৫ স্পটে ৭৪ ডিভাইস

  • মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯

অবশেষে কক্সবাজার জেলায় স্থাপন হচ্ছে ওয়াইফাই জোন। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) উদ্যোগ জেলাব্যাপী ওয়াইফাই জোন স্থাপনের নিমিত্তে আলোচনা সভা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট কক্সবাজার সিটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ওয়াইফাই জোন স্থাপনের নিমিত্তে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদের সভাপতিত্বে গতকাল এক সভা করেছেন।

জেলার সচেতন মহলের দাবি, কক্সবাজার জেলার পর্যটন এরিয়া স্পটে ওয়াইফাই সংযোগ চালু হলে পাল্টে যেতে পারে পর্যটন শিল্পের চেহারা। তাই জেলায় ওয়াইফাই সংযোগ চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। ইন্টারনেটের এই যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কক্সবাজার জেলার সংশ্লিষ্ট পর্যটন এলাকায় ওয়াইফাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে জেলার পর্যটন স্পটগুলো আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। জেলার পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের কাছে পরিচিত করে তুলতে ওয়াইফাইয়ের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন অনেকে।

আইটি বিশেষজ্ঞ পিন্টু দত্ত জানান, ‘কক্সবাজার জেলা পর্যটন এলাকা হিসেবে ওয়াইফাই চাহিদা ব্যাপক। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ওয়াইফাই দেশব্যাপী ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। কক্সবাজারকে পর্যটকদের কাছে পরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে ওয়াইফাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবস্থা গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে শিক্ষাক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি জেলার হোটেল-মোটেল জোন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক যোগাযোগে ওয়াইফাইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই জেলার সংশ্লিষ্ট পর্যটন স্পট ও কক্সবাজার শহর এলাকায় ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন করলে পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য খুবই সুবিধা হয়।’ কউকের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ওয়াইফাই জোন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার; যা সত্যি প্রশংসনীয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পর্যটক সেবার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের বহির্বিশ্ব সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সি-বিচসহ কক্সবাজার শহরের ৩৫টি পয়েন্টে মোট ৭৪টি ডিভাইস অ্যাক্সেস পয়েন্ট (এপি) স্থাপন করা হবে। ফলে পর্যটকসহ সাধারণ জনগণ বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য ২১ জানুয়ারি এক সভার আয়োজন করা হয়। এতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপ-সচিব) আবু জাফর রাশেদ, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার জিন্নাত শহীদ পিংকি, সিলেট ডিজিটাল সিটি প্রকল্প পরিচালক মহিদুর রহমান খান, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি এএসপি (ট্রাফিক) বাবুল চন্দ্র বণিক, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, কক্সবাজার ডিএসবি পুলিশ পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন, ইন্সপেক্টর-ট্যুরিস্ট পুলিশ এম সাকের আহমেদ, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এএইচএম মোস্তফা কামাল, কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কউকের কনসালট্যান্ট মো. আইনুল ইসলামসহ অনেকে ইতিবাচক মতামত দেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads