২ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

২ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

আটক বাণিজ্য

২ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

  • নড়াইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ মে, ২০১৮

জেলার লোহাগড়ায় মাদকের নামে আটক বাণিজ্যের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড হয়েছেন। তারা হলেন— লোহাগড়া থানার এএসআই মো. ইসমাইল হোসেন ও এএসআই সুজন ফকির। গত শনিবার রাতে লোহাগড়া থানা থেকে অভিযুক্তদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

লোহাগড়া থানা পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া বাজারের পশ্চিমপাশে জয়পুর মোড় থেকে আবু নাইম আকাশকে ১০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। বিক্রির জন্য এগুলো কাছে রেখেছিল জয়পুর গ্রামের আবু সাইদ বাবুলের ছেলে নাইম।

তবে নাইমের মা রেকসোনা পারভীন দাবি করেন, নাইম ও তার এক বন্ধু গল্প করার সময় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নাইমের বন্ধুকে ওইদিনই রাত ১০টার দিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। নাইমকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে চার হাজার টাকা নিলেও ছাড়েনি। তাদের দাবি ছিল আরো টাকা। ফোনে এএসআই সুজন ফকির বলেন, চার হাজার টাকা দেওয়ায় নাইমের বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা হয়েছে, না দিলে ৫২ পিস ইয়াবার মামলা হতো।

রোকসানা বলেন, এসব বিষয় আমি নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানাই। তারপর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা টাকা ফেরত দিতে আমার বাড়িতেও গিয়েছিল। আমাকে না পেয়ে তারা ফিরে আসে।

লোহাগড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে শনিবার রাতে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তবে নিজেদের ওপর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই সুজন ও এএসআই ইসমাইল। তাদের দাবি, তৃতীয় পক্ষ তাদের নাম ভাঙিয়ে চার হাজার টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া তারা দুজনকে নয়, একজনকে আটক করেছিলেন বলে দাবি করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads