পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তিতে কেমন হবে বিশ্ব তা দেখাতেই আগামী ২৫ জুলাই ঢাকায় ফাইভজি পরীক্ষা আয়োজিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। আর পরীক্ষা চালাতে চীনের প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে এক সপ্তাহের জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।
জানা যায়, এদিন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই পরীক্ষা চালানো হবে। হুয়াওয়ের এই পরীক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সহায়তা করবে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক ও বেসরকারি অপারেটর রবি।
পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দেশে ফাইভজি পরীক্ষা করা হবে সেই বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে ২৫ তারিখই হবে। কিন্তু আমরা যখন একদম চূড়ান্ত করে ফেলব তখন তো সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবেই জানানো হবে।
হুয়াওয়েকে এক সপ্তাহের জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে মন্ত্রী বলেন, হুয়াওয়েকে বাণিজ্যিকভাবে কোনো স্পেকট্রাম দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে। কারণ, আমরা যদি কোনো কাজ করতে চাই তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যা যা দরকার, তা তো আমাদের করতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, এই আনুষ্ঠানিকতার মানে কিন্তু এই নয়, ফাইভজি চালু হচ্ছে। আমরা কিন্তু ফাইভজি চালু করছি না, এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করছি। এই প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। কারণ সারা দুনিয়া যখন ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, তখন আমরা জ্ঞান অর্জন করতে থাকব। সেটা এখন আর চলবে না। আমরা স্বাভাবিক যেই নিয়মে চলছিলাম, সেভাবেই চলব।
জানা গেছে, এই পরীক্ষার জন্য বিটিআরসির কাছে তিন মাসের জন্য স্পেকট্রামের আবেদন করেছিল হুওয়ায়ে। তবে সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এই স্পেকট্রাম ব্যবহার নিয়ে এক সপ্তাহের জন্য অনুমোদন দেয় বিটিআরসি।
তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. শাহজাহান মাহমুদ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশের খবরকে তিনি বলেন, ‘আমি স্যাটেলাইট প্রকল্পে ব্যস্ত থাকায় এই বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।’
ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যে জোরেশোরে প্রস্তুতি চালাচ্ছে হুয়াওয়ে। চীন থেকে এই প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি আনার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে পরীক্ষার মাধ্যমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট সিটি, উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট অব থিংসর (আইওটি) নানা ধরনের কাজে ফাইভজি প্রযুক্তির ভূমিকা প্রদর্শন করা হবে। এ ছাড়া ওই দিনই একই জায়গায় ‘বাংলাদেশ ফাইভজি সামিট’-এর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি চলছে, যা চলতি বছরের শেষের দিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ ছাড়া চলতি বছর থেকেই কোয়ালকম, স্যামসাং ও ইন্টেল ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের উপযোগী ফোন বাজারজাত করতে যাচ্ছে।