প্রতীকী ছবি

সোশ্যাল মিডিয়া

১৬ বছর বয়সের আগে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ব্যবহারকারীদের জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা বেঁধে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এখন থেকে এই জোটের দেশগুলোর ১৬ বছরের কম বয়সী কেউ মেসেজিং অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবে না।

বার্তা আদান-প্রদানে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানটির নীতি অনুসারে অ্যাপটি ব্যবহারে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৩ বছর। কিন্তু ইউরোপে তথ্যের গোপনীয়তা বিধানের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী মে মাস থেকে নিজেদের নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।

আগামী ২৫ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডাটা প্রটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি কীভাবে তথ্য ব্যবহার করবে সে বিষয়ে জানানো হবে।

হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যেকেউ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার আগে তাদের বয়স নিশ্চিত করতে হবে। তবে ব্যবহারকারীদের প্রকৃত বয়স কীভাবে যাচাই করা হবে সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য মুছে ফেলার অধিকার রয়েছে। নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যেন শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা না যায় এবং তাদের তথ্য ব্যবহার করে যেন কোনো প্রোফাইল তৈরি করা না যায় সে বিষয়ে শিশুদের সুরক্ষায় নির্দিষ্ট ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে ইউরোপের বাইরে বিশ্বের অন্যান্য দেশে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৩ রাখার পরিকল্পনাই রয়েছে সংস্থাটির।

হোয়াটসঅ্যাপ স্মার্টফোনের জন্য জনপ্রিয় একটি বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ। বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে এটি ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা ফোন নম্বর তালিকা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নম্বর সিনক্রোনাইজ করে নেয়। ফলে আলাদা করে আইডি যোগ করার প্রয়োজন হয় না। স্মার্টফোনে বিনামূল্যে ব্যবহারের উপযোগী ম্যাসেঞ্জারটিতে ব্যক্তিগত হালনাগাদ, ব্যবহারকারী যেখান থেকে চ্যাট করছেন সে এলাকা, গ্রুপ তৈরি, গ্রুপের জন্য আলাদা আইকন তৈরি করা যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads