বিদেশ

হাওয়াইয়ে উত্তপ্ত লাভার কবলে নতুন এলাকা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ মে, ২০১৮

কিলাওয়ে আগ্নেয়গিরি থেকে উদ্গিরণ হওয়া দ্রুতগতির লাভা আতঙ্কে বাড়িঘর ছাড়ছে হাওয়াইয়ের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা। ব্রিটিশ মিডিয়া এক্সপ্রেসের মতে, গত সোমবার মধ্যরাতে হওয়া চার দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে লাভা বের হচ্ছে।

হাওয়াইয়ের সিভিল ডিফেন্স বিভাগ জানায়, উত্তরাঞ্চলের লিলানি সম্প্রদায়কে যত জলদি সম্ভব বাড়িঘর ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পুনা জিওথার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি কূপ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে লাভায়। যদিও কাউন্টি কর্মকর্তাদের মতে, প্ল্যান্টের আশপাশে লাভার স্রোত বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত ওই প্ল্যান্টটির কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, প্ল্যান্টে থাকা অন্য কূপগুলো যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে। প্ল্যান্টটির কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই এর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং ৬০ হাজার গ্যালন দাহ্য পদার্থ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ দিন ধরে কিলাওয়ে আগ্নেয়গিরি থেকে প্রবলবেগে ৩০ মিটার উঁচু থেকে লাভা বের হচ্ছে। এ ছাড়াও আগ্নেয়গিরির পূর্বে নতুন অংশে বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়েছে এবং সেখান থেকে বের হওয়া ছাই চার হাজার মিটার উঁচু পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, বর্তমানে আগ্নেয়গিরিটি থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক মিটার পরিমাণ লাভা বের হচ্ছে। লাভার দ্রুতগতির ফলে প্রতি সেকেন্ডে তিন মিটার এলাকা উত্তপ্ত লাভায় ঢেকে যাচ্ছে।

জানা যায়, গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া উদ্গিরণে এখন পর্যন্ত হাওয়াইয়ের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৮২টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং দুই হাজারের অধিক মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৮৯০ হেক্টর আবাদি জমি লাভায় পুড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুসারে, আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া সালফার-ডাই-অক্সাইড ছাড়াও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস ও ছাই জনস্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads