হাঁস ও মাছ চাষে বেশি লাভ

এই পদ্ধতিতে পুকুরে বাড়তি সার ও খাদ্য দিতে হয় না

সংরক্ষিত ছবি

ফিচার

হাঁস ও মাছ চাষে বেশি লাভ

  • নাহিদ বিন রফিক
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই, ২০১৮

মাছচাষ লাভজনক। মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মতে, পুকুরে হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। আশার খবরটি হচ্ছে, দেশের অনেক স্থানে হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ পদ্ধতির সুফল হলো- একই সঙ্গে মাছ ও হাঁস পালনের মাধ্যমে বাড়তি আয় করা যায়। এই পদ্ধতিতে পুকুরে বাড়তি সার ও খাদ্য দিতে হয় না। ফলে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে ৪০-৫০ শতাংশ আয়তনের একটি পুকুরে ১০০-১৫০টি হাঁস, ১৫০০-২০০০টি মাছের পোনা এবং একটি হাঁসের ঘর লাগবে। সঙ্গে লাগবে পাহারাদারের জন্য একটি ঘর। হাঁসের জন্য পুকুরের পাড় কিংবা পুকুরের ওপর খোলামেলা উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। যে জাতের হাঁস বেশি ডিম দেয় সে জাতের হাঁস নির্বাচন করতে হবে। দেশীয় হাঁস ছাড়াও ইন্ডিয়ান রানার ও খাকি ক্যাম্পেবেল নির্বাচন করা যেতে পারে। এই জাতের হাঁস পাঁচ মাস বয়স থেকে দুই বছর পর্যন্ত বছরে ২৫০-৩০০টি ডিম দেয়। শুকনো খাদ্য না দিয়ে হাঁসকে সবসময় ভেজা খাদ্য দিতে হবে।

সমন্বিত চাষ পদ্ধতিতে হাঁস চাষ করায় পুকুরে মাছের বিভিন্ন প্রকার খাবারের সৃষ্টি হয়। এজন্য ভিন্ন ভিন্ন খাদ্যাভ্যাসের বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করা যেতে পারে। প্রতি শতকের জন্য সিলভার কার্প ১০-১৫টি, কাতল/ব্রিগেড ৬টি, মৃগেল ৬টি, কালিবাউশ ৩টি, গ্রাস কার্প ৩টি, সরপুঁটি ৭-১০টি। মাছের প্রজাতির মধ্যে সিলভার কার্প ও কাতল পানির উপরের স্তরে খাদ্য খায়, গ্রাস কার্প পুকুরের জলজ আগাছা ও ঘাস খায়, কমন কার্প পুকুরের তলদেশের খাদ্য খায়। এ ছাড়াও মৃগেল, কালিবাউশ, মিরর কার্প, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা যেতে পারে। ৪০-৫০ শতাংশের একটি পুকুরে ১০০টি হাঁসের জন্য এ প্রকল্প শুরু করলে সব মিলে খরচ দাঁড়াবে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। সঠিক পরিচর্যা আর যত্ন নিতে পারলে প্রথম বছরে যাবতীয় ব্যয় বাদ দিয়ে ৬০-৯০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হতে পারে।

লেখক : টেকনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট

কৃষি তথ্য সার্ভিস ও পরিচালক, কৃষিবিষয়ক আঞ্চলিক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার, বরিশাল

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads