হলুদ চাষে অনীহা তালার কৃষকদের

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কৃষি অর্থনীতি

হলুদ চাষে অনীহা তালার কৃষকদের

  • তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯

বাজার মূল্য কম হওয়ায় হলুদ চাষে অনীহা প্রকাশ করছে সাতক্ষীরার তালার চাষিরা। অনাবৃষ্টি ও পচন রোগের কারনে ভালো ফলন না হওয়ায় লোকসানের বোঝ কাধে নিয়ে অন্যন্য চাষাবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। বেশী জমিতে হলুদ চাষ করলে লাভ কম হওয়ায় হলুদের ক্ষেতে ঝাল, বেগুন, মিষ্টি আলু, ওল, কচুরমুখিসহ মিশ্র চাষ করলে কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। সে ক্ষেত্রে হলুদের উৎপাদন কম হতে বসেছে। লোকসানের কারনে গত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষাবাদ কম হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৩২০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। গত বছর ৩৩০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়। উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের চাঁদকাটী গ্রামের চাষী রাশিদুল গাজী, আড়ংপাড়া গ্রামের চাষি আব্দুল্লাহ গোলদার, বলরাম গ্রামের পরিমল অধিকারী, কুমিরা ইউনিয়নের সেনপুর গ্রামের কৃষক জহুরুল সরদার জানিয়েছেন, এ বছর ২ বিঘা জমিতে হলুদের চাষ করেছেন। হলুদের উৎপাদন অনেক কম। এরপর আবার অনেক হলুদ পচে নষ্ঠ হয়ে গেছে। ২ বিঘা জমিতে আনুমানিক ৮০ মণ হলুদ হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু হলুদের বীজ, জমির খাজনা এবং সারসহ আনুসঙ্গিক বিভিন্ন কাজে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে।

লোকসান প্রসঙ্গে জহুরুল সরদার বলেন, হলুদ চাষের পাশাপাশি একই জমিতে বেগুন, ঝাল, ওল, মেটে আলু, কচুরমুখিসহ মিশ্র চাষ করায় ফলে কিছু লাভ হতে পারে। শুধুমাত্র হলুদ চাষ করলে এখন আর লাভ হয় না। হলুদ চাষের জন্য এখন ভাল মানের বীজ পাওয়া যায় না। এছাড়া শ্রমিকের মূল্য, সার, কীটনাশকের মূল্য অনেক বেশী। তবে কৃষকরা আরো জানিয়েছেন, ছোট ছোট খন্ড করে হলুদ চাষ করলে লাভ হয়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চাহিদার তুলনায় হলুদ এখন অনেক কম উৎপাদন হচ্ছে। হলুদ চাষে পরিশ্রম বেশী, বীজের দাম বেশী। উপজেলায় গতবছর উচু জমিতে ধানের আবাদ বেশি হওয়ায় সেই সমস্ত জমিতে হলুদের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads