প্রথম তিন ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দল পরাজিত হলেও বাংলাদেশের ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমান কিন্তু কমবেশি উইকেট পেয়েই যাচ্ছিলেন এবং মিতব্যয়ী বোলার হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরিও করে ফেলেন। কিন্তু মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচে মুম্বাই চতুর্থ ম্যাচে এসে জয় পেলেও মোস্তাফিজ যেন হঠাৎ পথ হারিয়ে ফেললেন। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে কোনো উইকেট পেলেন না। তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মার নৈপুণ্যে মুম্বাই ৪৬ রানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে জয় পেল।
উল্টোদিকে একের পর এক উইকেট পড়ছে। আস্কিং রেট ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। সেই অবস্থায় একা লড়াই করে গেলেও দলকে জেতাতে পারলেন না বিরাট কোহলি। মুম্বাই বনাম ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচে রান পেলেন দুই অধিনায়কই। কিন্তু ব্যাঙ্গালোরের কোহলিকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন রোহিত শর্মা।
ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করে রোহিতের ৯৪ রানের সুবাদে মুম্বাই করে ৬ উইকেটে ২১৩ রান। যার জবাবে ব্যাঙ্গালোর ২০ ওভারে থেমে যায় ৮ উইকেটে ১৬৭ রানে। কোহলি অপরাজিত থাকেন ৯২ রানে।
দল হারলেও এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এলেন কোহলি। ম্যাচের শেষে কমলা টুপি নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখন এই টুপিটা পরতে চাই না। আমরা ম্যাচটা ছুড়ে দিয়ে এলাম। কয়েকটা বড় রানের জুটি গড়তে পারলে ফল অন্যরকম হতে পারত।’ রোহিতের মন্তব্য, ‘প্রথম ছয় ওভারে বোলাররা কিছুটা সাহায্য পেয়েছিল। উমেশ যাদব খুব ভালো জায়গায় বলটা রাখছিল।’
ম্যাচের শুরুতে প্রথম দুই বলে মুম্বাইয়ের দুই ব্যাটসম্যানের স্টাম্প ছিটকে দেন উমেশ। তার দুই শিকার সূর্যকুমার যাদব ও ঈশান কিসান। রোহিত এসে হ্যাটট্রিক বাঁচান। উমেশের আগুনে স্পেল সামলে মুম্বাইকে লড়াইয়ে ফেরান রোহিত ও এভিন লুইস। শূন্য রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এভিন-রোহিত জুটি ৬৬ বলে তোলে ১০৮ রান। ৪২ বলে ৬৫ রান করেন লুইস।
লুইস শুরু করেছিলেন। শেষটা করলেন রোহিত। শেষ ওভারে রোহিত যখন আউট হলেন, মুম্বাই অধিনায়কের রান ৫২ বলে ৯৪। মারেন ১০টি চার, পাঁচটি ছয়। উল্টোদিকে ওপেন করতে নেমে কোহলি করলেন ৬২ বলে ৯২। মারলেন সাতটি চার, চারটি ছয়।
এরই মধ্যে মুম্বাই ইনিংসের শেষ দিকে হার্দিক পান্ডেকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ক্রিস ওকসের করা ১৯তম ওভারে হার্দিককে কট বিহাইন্ড দেন আম্পায়ার। কিন্তু কোনো ফিল্ডার বা বোলার আবেদন করেননি। হার্দিক অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে ডিআরএসের সাহায্য নেন। তৃতীয় আম্পায়ার নট আউট দেন। যার পরে কিছুটা উত্তেজিত কোহলিকে দেখা যায় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছেন। মুম্বাইয়ের জয়ের মাঝে কাঁটা হয়ে থাকল ঈশান কিসানের চোট। কিপিং করার সময় হার্দিকের ছোড়া বলে চোখের ওপরে চোট পান তিনি। ঈশানকে তার পর মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হয়।