স্পেনের নতুন মন্ত্রিসভায় ১৭ সদস্যের মধ্যে ১১ নারী

পুরুষ অনুপাতে নারীর এ হার ইউরোপের সরকারগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ

ইন্টারনেট

বিদেশ

স্পেনের নতুন মন্ত্রিসভায় ১৭ সদস্যের মধ্যে ১১ নারী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৮ জুন, ২০১৮

স্পেনের নতুন সমাজতন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ তার মন্ত্রিসভার ১৭টি পদের ১১টিতেই নারীদের মনোনয়ন দিয়েছেন। পুরুষ অনুপাতে নারীর এ হার ইউরোপের সরকারগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে বিবিসি। নারীবাদী হিসেবে খ্যাত সানচেজের এই অবস্থান আগের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয়ের সম্পূর্ণ বিপরীত। গত সপ্তাহে ক্ষমতাচ্যুত রাখয়ের মন্ত্রিসভায় পুরুষদের আধিক্য ছিল।

সানচেজের ১৮ সদস্যের মন্ত্রিসভায় নারীর শতকরা অবস্থান ৬১ দশমিক ১ শতাংশ। দেশটির ইতিহাসে আর কখনোই কোনো মন্ত্রিসভায় নারীদের এমন উপস্থিতি ছিল না বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দলের সহকর্মী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরের অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এ মন্ত্রিসভা। নতুন মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী ও পুনর্বহাল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন কারমেন কালভো। আন্দালুসিয়ার সাবেক কাউন্সিলর মারিয়া হেসুস মোনতেরো অর্থমন্ত্রী হচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কমিশনের বাজেটবিষয়ক প্রধান নাদিয়া কালভিনো পাচ্ছেন ব্যয় সঙ্কোচের দায়িত্ব। সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিশেষজ্ঞ কৌঁসুলি ডোলোরস দেলগাদোর হাতে যাচ্ছে বিচার মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী মার্গারিতা রবলেসকে। শিক্ষায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইসাবেল সেলা হচ্ছেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোরেল পাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন স্প্যানিশ হাইকোর্টের সাবেক বিচারক ফার্নান্দো গ্রান্দে মারলাস্কা। সাবেক নভোচারী পেদ্রো দুকুকে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে সানচেজ বলেন, আমার নতুন সরকার সেইসব মানুষকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে যারা প্রগতিশীল সমাজের লক্ষ্য সম্পর্কে একমত। ইউরোপকে ‘নতুন স্বদেশ’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দেন সমাজতন্ত্রী এ প্রধানমন্ত্রী। নারীবাদী আন্দোলনের ভেতর দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে নতুন মন্ত্রিসভাকে এর ‘বিশ্বস্ত প্রতিফলন’ হিসেবেও দাবি করেছেন তিনি।

বেতন বৈষম্য ও লিঙ্গ সহিংসতার বিরুদ্ধে ৮ মার্চ স্পেনজুড়ে হওয়া ধর্মঘটে প্রায় ৫০ লাখ নারী অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারণা। ‘সমাজ পরিবর্তনের’ ক্ষেত্রে ওই দিনের গুরুত্বও তুলে ধরেন সানচেজ। তিনি বলেন, ৮ মার্চের বিক্ষোভ স্পেনকে আগে ও পরের দুটি সময়ের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। স্পেনের বাইরে ফ্রান্স, সুইডেন ও কানাডাসহ ইউরোপের গুটিকয়েক দেশের মন্ত্রিসভায় নারীর অবস্থান ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি।

২০১১ সালে ক্ষমতায় বসা রাখয় গত সপ্তাহে আস্থা ভোটে পরাজিত হলে সানচেজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ খুলে যায়। পার্লামেন্টের মাত্র এক-চতুর্থাংশ আসন দখলে থাকলেও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে আরো ছয়টি দলের সমর্থন নিয়ে রক্ষণশীল পপুলার পার্টির নেতা রাখয়কে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেয় সানচেজের সোশ্যালিস্ট পার্টি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads