নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার চান্দেরকীর্তি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
আজ বুধবার সোনারগাঁ পৌরসভার সাহাপুর এলাকা থেকে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার পাশে মাটি খুঁড়ে লোহার পাইপ তুলে এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুল ইসলাম।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কাঁচপুর অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপক আল মামুন জানান, কিছু অসাধু লোকজন নিম্নমানের পাইপ দিয়ে সোনারগাঁ পৌরসভার সাহাপুর এলাকা থেকে বৈদ্যেরবাজার ও বারদী ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। নিম্নমানের পাইপলাইন দিয়ে অবৈধ সংযোগ দেওয়ার কারনে যে কোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিলে পাইপলাইন তুলে নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রিফাত আব্দুল্লাহ ও টেকনিশিয়ান মিজানুর রহমান সহ তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এলাকাবাসীরা জানান, এই গ্যাস লাইনটি এর আগে তিনবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযান চালিয়ে এ অবৈধগ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। তবে দু-একদিন পরেই পুনরায় রাতের আঁধারে সংযোগ স্থাপন করা হয়। সিন্ডিকেটের লোকজনই অভিযানের পরে রাতের আঁধারে এ গ্যাস সংযোগ স্থাপন করে।
উপজেলার সাহাপুর এলাকা থেকে বৈদ্যেরবাজার ও বারদী ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রাস্তা খুঁড়ে সরকারদলীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের নেতাকর্মীরা মিলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেয়। পরে ওই সিন্ডিকেটের লোকজন মিলে বিভিন্ন বাড়িঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ গ্যাস সংযোগ স্থাপন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।