সুষ্ঠু ভোটের আশা দেখছেন না ধানের শীষের প্রার্থী

বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার

ছবি : সংরক্ষিত

নির্বাচন

সুষ্ঠু ভোটের আশা দেখছেন না ধানের শীষের প্রার্থী

  • গাজীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুন, ২০১৮

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু হবে বলে মনে করছেন না মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি জানান, জনগণ মেনে নিলে তবেই তিনি এ ভোটের ফলাফল মেনে নেবেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই বছিরউদ্দিন উদয়ন একাডেমী কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ৭০ বছর বয়সী এই বিএনপি নেতা। ভোটের সার্বিক অবস্থা কেমন প্রশ্নে- তিনি বলেন, ‘মাত্র তো শুরু করলাম, ৪২৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখার পর আমি মন্তব্য করব।’

ভোট নিয়ে প্রত্যাশা জানতে চাইলে হাসান সরকার বলেন, ‘আমি জনগণকে আহ্বান জানাব ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্য।’ তবে ভোট সুষ্ঠু হবে বলে তিনি মনে করছেন না এই ধানের শীষের প্রার্থী ।

তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার করা হচ্ছে, ইতোমধ্যে প্রায় দশ থেকে বারো জনকে গ্রেপ্তার করেছে সকাল বেলা। পুলিশ এজেন্টদের মেরে মেরে বের করে দিচ্ছে। ইসির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।’

হাসান সরকার বলেন, ‘আমি শুধু বলব, আমি নির্বাচনে আছি থাকব। সর্বশেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল দেখে মন্তব্য করব আমি। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।’

নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে কতটা আশাবাদী- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ আশাবাদী। ফলাফল জনগণ যদি মেনে নেয় আমিও মেনে নেব ‘

কোন কোন কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ‘অনেক কেন্দ্র থেকেই বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দশটি কেন্দ্র হবে। গ্রেফতার করছে মারধর করছে।’

তিনি বলেন, ‘হাই কোর্টে নির্দেশ দিয়েছে (হয়রানি না করতে), মানছে না তো তারা। অবাক পৃথিবী!’ নির্বাচন কমিশনে এসব অভিযোগ জানানো হয়েছে কি না- এ প্রশ্নে হাসান সরকার বলেন, “রিটার্নিং অফিসারকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তো রাতে প্রধান ইলেকশন কমিশনারকে মুখে বলেছি, উনি বলেছেন, ‘দেখতেছি’।”

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথম ভোট হয় ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। সেই নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লাহ খানকে ১ লাখ ৩২ হাজার ভোটে হারিয়ে মেয়র হন বিএনপির এম এ মান্নান।

গতবারের বিজয়ী মান্নানের বদলে বিএনপি এবার প্রার্থী করেছে দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. হাসান উদ্দিন সরকারকে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার টিকিট পেয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর অলম, যিনি গতবার প্রার্থী হয়েও দলীয় সমর্থন পাননি।

এছাড়া সিপিবির কাজী মো. রুহুল আমিন কাস্তে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মো. জালাল উদ্দিন মোমবাতি, ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান মিনার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন হাত পাখা, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads