সুষ্ঠু নির্বাচনে পুলিশের নানা উদ্যোগ

লোগো বাংলাদেশ পুলিশ

নির্বাচন

সুষ্ঠু নির্বাচনে পুলিশের নানা উদ্যোগ

#মাঠে থাকবে লক্ষাধিক পুলিশ # ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ১ হাজার ৬৩২টি # ২৫ হাজার ৮২৭টি ‘গুরুত্বপূর্ণ’

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ সদর দফতর। নির্বাচনের আগে ৪০ হাজার ২০০টি ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘সাধারণ’ এই দুই ভাগে ভাগ করে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম এলাকায় ১ হাজার ৬৩২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। কোনো ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা রেঞ্জের অধীন ১৩টি জেলার মোট ৭ হাজার ২৩৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চার হাজার ৭৪টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জের দুই হাজার ৭১১টি কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৭৫৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের পাঁচ হাজার ৭৯৮টি কেন্দ্রের মধ্যে তিন হাজার ৮৮১টি, খুলনা রেঞ্জের চার হাজার ৫২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে দুই হাজার ৮৪৯টি, রাজশাহী রেঞ্জের চার হাজার ৮৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে দুই হাজার ৮০৭টি, রংপুর রেঞ্জের চার হাজার ১৪৮টি কেন্দ্রের মধ্যে দুই হাজার ৯০৭টি, সিলেট রেঞ্জের দুই হাজার ১৮৩টি ও বরিশাল রেঞ্জের দুই হাজার ৩৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৬৯৭টিই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া পুলিশের করা তালিকায় ঢাকা মহানগর এলাকায় দুই হাজার ১১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ২৬৭টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ, রাজশাহী মহানগর এলাকার ১৯৬টির মধ্যে ১৬৮টিই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও ২৮টি সাধারণ, রংপুর মহানগর এলাকার ১৯৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১৮টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৮০টি সাধারণ, চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় ৫৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪৩টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৪৮টিকে সাধারণ, খুলনা মহানগর এলাকায় ৩০৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২১০টিই গুরুত্বপূর্ণ ও ৯৯টি সাধারণ, বরিশাল মহানগর এলাকার ১৯৭টির মধ্যে ১২৬টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ৭১টি সাধারণ, সিলেট মহানগর এলাকার ২৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০২টি গুরুত্বপূর্ণ ৯১টি সাধারণ, গাজীপুর মহানগর এলাকার ৪২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৮টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৮ কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে পুলিশ সদর দফতর।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি (এইচ আর এম) শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘সাধারণ’ ও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিভাজন করার কারণ হচ্ছে কেন্দ্রের অবস্থান, প্রার্থীদের অবস্থা, এলাকার ভোটারদের অবস্থা এবং পরিবেশ পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় এটা করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এটা করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর মতে, পুলিশের তালিকায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে ৪০ হাজার ২৭৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৫ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’, বাকি ১৪ হাজার ৪৪৬টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ কেন্দ্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের অধীন মহানগর ও জেলাগুলোতে অবস্থিত ৭ হাজার ২৭৪টি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী র্যাব আনসার বিজিবিসহ সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে। মোট কথা সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা রেঞ্জে সম্প্রতি সিটি করপোরেশন, উপজেলা এবং পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু কোথাও বিশৃঙ্খলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এর কারণ হচ্ছে আমরা সব নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। সাধারণ মানুষ যদি মনে করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না। তারা কিন্তু নিজেদের ভোটাধিকারটা প্রয়োগ করতে যায়। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতোমধ্যে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাতে আশা করি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হবে না। তারপরও এ ব্যাপারে সংবাদকর্মী, ভোটার, এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই যাতে আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে পারি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads