আল মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশের যে অঞ্চলগুলো সঙ্গীত, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে, তার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্যতম। এই জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানীও বলা হয়। তিতাস বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সঙ্গীত, শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির তীর্থক্ষেত্র হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে সুপরিচিত। গানের দেশ গুণীর দেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেন জ্ঞানী-গুণীর খনি। অসংখ্য জ্ঞানী-গুণীর বিভিন্ন অবদানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া আজ উপমহাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এ ছাড়া আশুগঞ্জে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র যা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে ২৬টি গ্যাসকূপ, আশুগঞ্জ ইউরিয়া সার কারখানা, আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম সাইলোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে এই জেলায়। পাশাপাশি আখাউড়া স্থলবন্দর ও আশুগঞ্জ নৌবন্দর আরো পরিচিত করেছে এই জেলাকে। তিতাস নদীর শান্ত প্রকৃতি ও তিতাস গ্যাস ফিল্ড দেখার মতো একটি স্থান। আশুগঞ্জ ও ভৈরব বাজারের মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর ওপর তৈরি হয়েছে তিনটি সেতু, যা দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। তাছাড়া এই তিনটি সেতুর মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার বিরাট উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নানান দর্শনীয় স্থান। মেঘনা-তিতাসের পলিমাটির আবাহনে বাঁধা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভূখণ্ড লোকসংস্কৃতির দিক থেকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। তিতাস অববাহিকায় জন্ম নিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত অনেক কৃতী সন্তান। জেলার শিল্প, সাহিত্য ও শিক্ষা-সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনেক পুরনো। সঙ্গীতচর্চার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খ্যাতি এখন বিশ্বজুড়ে। উপমহাদেশের সঙ্গীত ও সংস্কৃতির আদিপীঠ বা তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। হাজার বছরের লোককাহিনী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে জেলার ঐতিহ্যে। আছে ধ্রুপদী সঙ্গীতের নিজস্ব ঘরানা। তিতাসের নৌকাবাইচ, সরাইলের হাঁসলী মোরগ, পুতুল নাচ, ভাদুঘরের বান্নি, সার্কাস ও যাত্রা, নবীনগরের লাঠিখেলা ও ষাঁড় দৌড় এই জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিশেষ দিক। সঙ্গীতের প্রবাদপুরুষ সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ফকির তাপস আফতাব উদ্দিন খাঁ, সাধক আনন্দ স্বামী, সাধক মনমোহন, উস্তাদ আয়েত আলী খাঁ, শচীন দেব বর্মণ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খাঁ, ওস্তাদ আবেদ হোসেন খাঁ, অমর পাল, ওস্তাদ খুরশিদ খান, ওস্তাদ সুবল দাস, শেখ সাদী খান, সৈয়দ আবদুল হাদী, উমেশ চন্দ্র রায়সহ আরো অনেকেই এই জেলার কৃতী সন্তান। বহু ভাবসঙ্গীত পালাগান, বাউলগান, মুর্শিদীগান, মারফতিগান, বারোমাসি, পুঁথি, জারি-সারিগান সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। জেলাসমৃদ্ধ লোকসঙ্গীত সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা অতি জরুরি। জেলার সাহিত্যের ইতিহাস খুঁজতে খুব বেশি অতীতে যাওয়ার দরকার হয় না। জেলার সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে আধুনিককালে এসে। মানুষ ও মনুষ্যত্বের বিষয়ে আপসহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য পরিবেশ মীর্জা হোসেন আলী থেকে কবি আল মাহমুদ এবং সাধক কবি মনমোহন থেকে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্যের উজ্জ্বল অধ্যায়। মীর্জা হোসেন আলী, বানচন্দ্র তর্কালঙ্কর, মুন্সি ছমির উদ্দিন, দেওয়ান রামদুলাল নন্দী, কৈলাস চন্দ্র সিংহ, সাধক মনমোহন, ছান্দসিক প্রবোধচন্দ্র সেন, কবি সুফি জুলফিকার হায়দার, কবি আবদুল কাদির, কবি জমিলা বেগম, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, গবেষক আ কা মো. যাকারিয়া, ইতিহাস গবেষক ড. অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, কবি সানাউল হক, কবি ছড়াকার সাজ্জাদ হোসাইন খান, কবি আহমদ রফিক, সাহিত্যিক মিন্নাত আলী, কবি মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ, কবি ফজল শাহাবুদ্দীন, কবি আল মাহমুদ, মোবারক হোসেন খান, সাংবাদিক ও গবেষক মুহম্মদ মুসা, কবি জয়দুল হোসেন, কবি মনজুরে মওলা, কথাসাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাই, তিতাস চৌধুরী, কবি শিহাব সরকার, শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম প্রমুখ কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক জেলা সাহিত্যচর্চা ও বিকাশে ব্যাপক অবদান রেখেছেন এবং বর্তমানেও রাখছেন। অপরদিকে এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুল ইসলাম। মোগল আমলে নির্মিত সরাইলের হাতিরপুল, কালভৈরব মন্দির, খড়মপুরের কেল্লাশাহ মাজার, নবীনগরের সতীদাহ মন্দির, বাঁশিহাতে শিবমূর্তি, সাধক মনমোহনের আনন্দ আশ্রম, হাছান শাহ মাজার, কসবার কৈলাঘর দুর্গ, কোল্লাপাথর শহীদ সমাধি, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এ জেলার ছানামুখী মিষ্টি, বিলম্বী ফল বিলম্ব, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, যাত্রা, তিতাসের নৌকাবাইচ, পুতুল নাচ, সরাইলের হাঁসলী মোরগের লড়াই, হাউন্ট কুকুর দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে। জেলার দর্শনীয় স্থানের মাঝেও আরিফাইল মসজিদ (সরাইল), উলচাপাড়া মসজিদ (সদর), ভাদুঘর শাহী মসজিদ (সদর), কালভৈরব মন্দির (সদর), সৈয়দ কাজী মাহমুদ শাহ মাজার কাজিপাড়া (সদর), বাসুদেব মূর্তি (সরাইল), ঐতিহাসিক হাতিরপুল (সরাইল), খরমপুর মাজার (আখাউড়া), কৈলাঘর দুর্গ (কসবা), কোল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ (কসবা), বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল শহীদ সমাধি (আখাউড়া), সৌধ হিরন্ময়, শহীদ মিনার, তোফায়েল আজম মনুমেন্ট, শহীদ স্মৃতিসৌধ, মঈনপুর মসজিদ (কসবা), বাঁশিহাতে শিবমূর্তি (নবীনগর), আনন্দময়ী কালীমূর্তি (সরাইল) এবং আর্কাইভ মিউজিয়াম ইত্যাদি অন্যতম।
নামকরণের ইতিহাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণ নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। কথিত রয়েছে, সেন বংশের রাজত্বকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিজাত ব্রাহ্মণকুলের অভাবে পূজা-অর্চনায় বিঘ্ন ঘটতো। সেজন্য রাজা লক্ষ্মণ সেন আদিসুর কন্যকুঞ্জ থেকে কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবারকে এ অঞ্চলে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে কিছু ব্রাহ্মণ পরিবার শহরের মৌলভীপাড়ায় বাড়ি তৈরি করেন। সেই ব্রাহ্মণদের বাড়ির অবস্থানের কারণে এ জেলার নামকরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। অন্য আরেকটি মতানুসারে দিল্লি থেকে আগত ইসলাম ধর্মের প্রচারক শাহ সুফি হজরত কাজী মাহমুদ শাহ এ শহর থেকে উল্লিখিত ব্রাহ্মণ পরিবারকে এই এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন, যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮৬০ সালে মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারত বিভাগের পর কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা হিসেবে থাকে এই জেলা। ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর পৌরসভায় উন্নীত হয়। ১৯৪৭-পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্গত হয়। ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার পূর্ব পাকিস্তান অংশের নামকরণ হয় কুমিল্লা জেলা। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি মহকুমা শহর নামে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতা-উত্তর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের সময় ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জেলা ঘোষণা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় অর্থনীতিতেও ব্যাপক অবদান রাখছে। তিতাস গ্যাসফিল্ড, সালদা গ্যাসফিল্ড, মেঘনা গ্যাসফিল্ড দেশের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ জোগায়। আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প কারখানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্প-সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এবং দলমত নির্বিশেষে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল মিলন মেলা হিসেবে পরিচিত।
বিশেষ সাক্ষাৎকার

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল মিলনস্থল
বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম এমএসসি
চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্প-সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। দল মত নির্বিশেষে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত আমাদের এই জেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানীও বলা হয়। সঙ্গীত, শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির তীর্থক্ষেত্র হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে সুপরিচিত এই জেলা। এ ছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে এই জেলার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তিতাস অববাহিকায় জন্ম নিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত অনেক কৃতী সন্তান। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দর্শনীয় স্থান। তাই এ জেলার গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে মাদক, বংশগত ও এলাকাভিত্তিক দাঙ্গা এ এলাকার প্রধান সমস্যা। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চোখে পড়ার মতো কোনো সমস্যা এখন আর নেই। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে একটি আদর্শ, আধুনিক, সুন্দর, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি। তাই জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক সব কর্মকাণ্ডে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকারও আমাদের সহায়তা করছে। পাশাপাশি সবাই মিলে সহযোগিতা করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

যেকোনো ঘটনায় পুলিশকে সঠিক তথ্য দিন
মো. আনোয়ার হোসেন খান,
বিপিএম, পিপিএম পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও দেশের অর্থনীতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান অনেক। অগণিত জ্ঞানী-গুণী ও সুফি সাধক জন্ম নিয়েছে এ জেলায়। শিক্ষার হারেও অন্যান্য জেলার চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ জেলায় সবচেয়ে বড় সমস্যা এলাকাভিত্তিক দাঙ্গা ও মারামারি। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এ এলাকার লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে মানুষের জান ও মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই এ এলাকার সাধারণ মানুষ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ইমামসহ সবাইকে নিয়ে দাঙ্গা রোধ এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এ এলাকায় মাদকের প্রভাব রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাদক রোধে আমাদের জেলা পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়েও আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও তাদের সন্তানদের প্রতি আরো বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পাশে আছি। যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশকে সঠিক তথ্য দিন।

পৌরসভাকে জনকল্যাণমুখী করতে কাজ করে যাচ্ছি
মিসেস নায়ার কবির
মেয়র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা
১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই পৌরসভা ১৯৯২ সালে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করে। শুরুতে প্রশাসকরাই পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৭৪ সালের ৬ মে প্রয়াত মাহবুবুল হুদা প্রথম পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রায় দেড়শ’ বছরের মধ্যে প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়ে এই পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করি। দায়িত্বভার নেয়ার পর থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত এই পৌরসভাটিকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছি। নিয়মিত নাগরিক সেবা প্রদান, অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াও ব্যতিক্রম কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তি মোতাবেক আমি পৌরসভাটিকে জনকল্যাণমুখী করতে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। নারীদের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। পৌরবাসীর কাছে অনুরোধ, আপনারা এলাকার সমস্যার কথা আমাদের জানান। পাশাপাশি নিয়মিত আপনাদের পৌর কর পরিশোধ করুন। ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। আমি দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। পৌর এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই তাদের কল্যাণে আমি কাজ করছি।





