সমুদ্রদূষণ রুখতে ৬শ স্বেচ্ছাসেবী সেন্টমার্টিনে

সেন্টমার্টিন

সংরক্ষিত ছবি

জীব ও পরিবেশ

সমুদ্রদূষণ রুখতে ৬শ স্বেচ্ছাসেবী সেন্টমার্টিনে

  • প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর, ২০১৮

জাহিদুল ইসলাম, সেন্টমার্টিন থেকে

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ২০১ কোটি টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। এর মাত্র ৩৩ শতাংশের ব্যবস্থাপনা হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে। নানা ধাপ ঘুরে অবশিষ্ট বর্জ্যের ঠিকানা হচ্ছে সমুদ্র। আর সমুদ্রে জমা হওয়া বর্জ্যের বড় উৎস প্লাস্টিক। বিষয়টির ভয়াবহতা অনুভব করে সমুদ্র উপকূল থেকে প্লাস্টিক অপসারণের কাজ শুরু হয়েছিল ৩৭ বছর আগে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে শুরু হওয়া ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ (আইসিসি) বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে জড়ো হয়েছেন প্রায় ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক।

দারুচিনি দ্বীপ হিসেবে পরিচিত সেন্টমার্টিনে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে ‘ক্রেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংঠন। দ্বীপটির একটি হোটেলে স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচিতি অনুষ্ঠান হয় গতকাল সন্ধ্যায়। এতে সমুদ্র উপকূল পরিষ্কার কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন ক্রেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘কোকাকোলা বাংলাদেশ’র পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শামীমা আক্তার। মুনতাসির মামুন বলেন, প্রায় ৩৭ বছর ধরে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বব্যাপী এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশে গত আট বছরে এতে ৩ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবক যুক্ত হয়েছেন। গত বছর এতে অংশ নেন ৪৭০ জন। আগামীকাল পুরো সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে। এতে প্রায় ৬০০ স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন।

আয়োজকরা জানান, তিন দিনের আয়োজনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ছাড়াও সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আলাদা একটি সভার আয়োজন করা হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে।

শামীমা আক্তার বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিচালিত সচেতনতামূলক এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে কোকাকোলা। ক্রেওক্রাডং বাংলাদেশ এ কাজ শুরু করার সময় থেকে কোকাকোলা সঙ্গে আছে। ভবিষ্যতে এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

আয়োজকরা বলেন, প্রতিবছর বর্জ্য নির্গমনের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৩৪০ কোটি টনে। এ অবস্থায় বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো গুরুত্ব দিতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে মুনতাসির মামুন বলেন, কঠিন বর্জ্য বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণে পরিণত হয়েছে প্লাস্টিকের অযাচিত ব্যবহার। ২০১৬ সালে ২৪ কোটি ২০ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্যে পরিণত হয়েছে। এর পরিমাণ ৫০০ মিলিলিটার আকারের ২৪ লাখ কোটি প্লাস্টিক বোতলের সমান।

অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়, বর্তমানে সামুদ্রিক বর্জ্যের ৯০ শতাংশের মূল কারণ প্লাস্টিক। প্লাস্টিক থেকে নির্গত বর্জ্যে ৪৮ লাখ অলিম্পিক সুইমিং পুল পূর্ণ করা যাবে, ওজন প্রায় ৩৪ লাখ পূর্ণবয়স্ক নীল তিমির সমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads