বাংলাদেশে গড়ে ওঠা সুপার শপ ব্যবসার সুবিধা-অসুবিধা এবং এ সেক্টরসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্করের সঙ্গে কথা বলেছেন মিরাজ রহমান
বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সুপার শপের পারফরম্যান্স সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
শফিকুল ইসলাম : ওভারঅল ভালো। তবে কিছু ত্রুটিও রয়েছে, যে কারণে এসব প্রতিষ্ঠানকে মাঝে মাঝে জরিমানা করা হয়। পণ্যের দাম বেশি রাখা, নিম্নমানের এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন কারণে এসব জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হয়। এতে তারা অনেক সচেতন হয়েছেন।
এসব শপের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের কাছ থেকে আসা অভিযোগগুলোর সমাধান কীভাবে করেন?
শফিকুল ইসলাম : অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে ডাকা হয়। অভিযোগকারীর কাছে থাকা প্রমাণগুলো উপস্থাপনের পর অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
আপনারা মূলত কোন পদ্ধতিতে সুপার শপগুলো তদারকি করেন?
শফিকুল ইসলাম : নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আউটলেটে প্রতিনিধি পাঠানো হয় এবং ভ্রাম্যমাণ বাজার মনিটরিং টিমের মাধ্যমে তদারকি করা হয়।
এমন কি কখনো হয়েছে জরিমানা করার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি তা সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে?
শফিকুল ইসলাম : না, এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি। একই ভুল দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে দ্বিগুণ জরিমানা করা হয়।
এ কারণে কোনো বিষয়ে একবার জরিমানা করা হলেই তারা সচেতন হয়ে যায়।
ভোক্তা ও সুপার শপ মালিকদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?
শফিকুল ইসলাম : ভোক্তাদের বলব, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। প্রতারিত হয়ে চুপচাপ বসে না থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ জানাতে হবে। আর মালিক পক্ষকে বলব, অবশ্যই ভোক্তাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে এবং মানসম্পন্ন মেয়াদি পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। সবার সুষ্ঠু অংশগ্রহণ জরুরি।