বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে যার প্রভাব অনেক, বদলে দিয়েছিলেন কম্পিউটার জগৎ তথা প্রযুক্তি বিশ্ব। যিনি চলে যাওয়ার পরও কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত। তিনি হচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী উদ্ভাবক ও ডিজাইনার এবং অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ জবস।
৫ অক্টোবর ছিল জবসের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে ৫৬ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আলতোয় মারা যান অসম্ভব মেধাবী ও সৃজনশীল এই উদ্যোক্তা।
জবস ২০০৩ সালে জটিল প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের চিকিৎসা করান। ওই সময় তার অস্ত্রোপচারও করা হয়।
কিন্তু তিন বছরের মধ্যেই আবার টিউমার হয় এবং ২০০৯ সালে তার যকৃত প্রতিস্থাপন করতে হয়। মৃত্যুর মাত্র দুই মাস আগে নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
তিনি পৃথিবী ছেড়ে গেলেও তাকে ভোলেনি এই পৃথিবীর মানুষরা। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে নানাভাবে তাকে স্মরণ করেছেন ভক্তরা। আর প্রযুক্তি দুনিয়ার মানুষরা তাকে স্মরণ করেছেন টুইটারে কিংবা ব্লগে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাপলের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক টিম কুক একটি টুইট করেছেন। যেখানে তিনি স্টিভের মধ্যবয়সের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, স্টিভ আমাকে এবং আমাদের সবাইকে দেখিয়ে দিয়ে গেছে, মানবতার সেবা করার মানে কী? আমরা তাকে মিস করি, আজকে, প্রতিদিন এবং আমরা কখনই ভুলব না- সে আমাদের জন্য যেই উদাহরণ রেখে গেছে।
অ্যাপলবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাপলইনসাইডার তাকে নিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করে। যেখানে তার বিশেষ দিনগুলো এবং বক্তব্যগুলোকে পুনঃপ্রকাশ করা হয়। এ ছাড়াও স্টিভের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এমন কয়েকজনের বক্তব্যও ছিল ওই আর্টিকেলে।
এদিকে বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসও তাদের ওয়েবসাইটে স্টিভ জবসকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। একজন স্বপ্নদর্শী নেতা যে বদলে দিয়েছে দুনিয়া- এই শিরোনামে লেখা ওই প্রতিবেদনটিতে স্টিভের নেতৃত্ব প্রদানকারী গুণ, ব্যবস্থাপনার নানা বিষয়সহ স্টিভের উদ্যোক্তা জীবনের বেশকিছু তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
স্টিভের কিছু কি-নোট বক্তব্যের সঙ্কলন প্রকাশ করেছে টাইমস নাও। এ ছাড়াও ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বিজনেস ইনসাইডারসহ আন্তর্জাতিক বেশকিছু ওয়েবসাইট ও ম্যাগাজিন স্মরণ করেছে স্টিভ জবসকে।
ইন্টারনেট অবলম্বনে এম. রেজাউল করিম