প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না। যারা সত্যিকারের ইসলামে বিশ্বাসী তারা জঙ্গিবাদে জড়াতে পারে না। বাংলাদেশ হবে সব ধর্মের সম্প্রীতির-শান্তির রাষ্ট্র।
আজ রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়াদী উদ্যানে ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া’ আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে তিনি একথা বলেন।
কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীছের সনদকে মাস্টার্সের মর্যাদা দেওয়ার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম নিয়ে যারা অপপ্রচার করবে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মের অপব্যখ্যাকারী ও অপপ্রচারকারীদের বিচার করা হবে। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। যারা সত্যিকারের ইসলামে বিশ্বাসী তারা জঙ্গিবাদে জড়াতে পারে না।
কওমী সনদের স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য কেউ ক্ষমতায় এসে যেন কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীছের সনদের মাস্টার্সের মর্যাদা কেড়ে নিতে না পারে সেজন্যই আইন করা হয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কওমী আলেমদের আগমনে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আলেমরা মুহূর্মুহূ স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এসময় তারা দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে আনন্দ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানমঞ্চে কওমি আলেম ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত আছেন। ইতোমধ্যে উদ্বোধনী বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী।