শেষ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮। গতকাল শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া টানা ৩৬ ঘণ্টার এই হ্যাকাথন শেষে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় এই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮-এর আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করেছে। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা পড়ে। সেখান থেকে বাছাই করে ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী হ্যাকথন।
এ বিষয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এবারের আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, গত বছর বাংলাদেশকে মোট ৮টি জোনে বিভক্ত করে ৪৫৩টি আবেদন গ্রহণ করা হয় যার মধ্য থেকে ১৩১টি প্রকল্প বাছাইয়ের জন্য মনোনীত করা হয়। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে ৫০টি দলের হ্যাকাথনের মধ্য দিয়ে সর্বমোট ১১টি সেরা প্রজেক্টকে নাসার নিয়মানুযায়ী মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ২টি প্রকল্প Global People's Choice Finalists হিসেবে সম্মান অর্জন করে। এবার ৯টি শহর থেকে ১৮টি দলকে নাসার জন্যে মনোনীত করা হবে। এবার আমরা আরো ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, মহাকাশের বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু, আগ্নেয়গিরি, মঙ্গল গ্রহসহ ৬টি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২০টি সাব ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগরিভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত ৪ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো, আশা করছি ২০১৮-তে আমাদের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে।
আয়োজক পক্ষ থেকে বলা হয়, টানা ৩৬ ঘণ্টা হ্যাকাথনের পর আজ সন্ধ্যা ৭টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। প্রধান অতিথি থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ১ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।