১৩ আগস্ট ছিল বুধবার। বেলা ১১টায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আর সিদ্দিকীর বিদায়ী সাক্ষাৎ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎ করেন চাঁদপুরের সংসদ সদস্য এমএ রব। মঙ্গলবার ১২ আগস্ট সকাল ১০টায় সাক্ষাৎ করেন অর্থমন্ত্রী ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, যিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কর্নেল ফারুকুর রহমানের সম্পর্কে আপন খালু। দেখা করার তিন দিন পর ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় মোশতাকের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সন্ধ্যা ৬টায় দেখা করেন সফররত কমনওয়েলথ সেক্রেটারি অধ্যাপক এএফ হোসেন, যিনি একজন পাকিস্তানি।
শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী ১১ আগস্ট সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাকশালের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী। এই সাক্ষাতের চার দিন পর তিনি মোশতাকের মন্ত্রী হন। পরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেরও শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎ করেন কর্মকমিশনের সদস্য আযহারুল ইসলাম।
১০ আগস্ট ছিল রোববার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। পাকিস্তান জামানা থেকে এই দিন ছুটি বহাল ছিল। এরশাদ যুগে রোববারের ছুটি বাতিল হয়।
৯ আগস্ট শনিবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধি ড. স্যাম স্ট্রিট সকাল ১০টায় আর বেলা ১১টায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ সাক্ষাৎ করেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টায় বাকশালের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্যরা সাক্ষাৎ করেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর বাকশাল নেতাদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় অ্যাটর্নি জেনারেল দেখা করেন তার সঙ্গে।
                                
                                
                                        
                                        
                                        
                                        




