শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ভোলদিঘি কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৯ এপ্রিল, ২০১৯

চাঁদপুরের শাহরাস্তির ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন কর্তৃক শিক্ষিকা লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার দুপর থেকে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে তার নিজ কক্ষে আটকে রাখে।

খবর পেয়ে শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ’ভণ্ড’ অধ্যক্ষের অপসারণ চাই, দেলোয়ার হোসেন আলেম নামের কলঙ্ক বলে শ্লোগান দিতে থাকে।

শিক্ষার্থীরা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একই মাদ্রাসার এক শিক্ষিকার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। শুধু আজই নয়, কয়েক দিন যাবত তিনি ওই শিক্ষিকাকে বিভিন্ন ধরনের অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে আসছেন। এ ঘটনাটি প্রকাশ পেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের প্রিন্সিপাল হুজুর পূর্বেও উপযুক্ত ছাত্রীদের সঙ্গেও বিভিন্ন অশোভন আচরণ করেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল হয়েছে। তারপরেও অসভ্য অধ্যক্ষ তার চেয়ারে বহাল তবিয়তেই আছে।

শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অধ্যক্ষ একই মাদ্রাসার শিক্ষিকার সাথে অশোভন আচরণ ও অঙ্গভঙ্গি করেছেন। এমন খবর শুনে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনার শিকার ওই শিক্ষিকা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন সবসময় আমাকে দেখলে খারাপ অঙ্গভঙ্গীসহ অশোভন আচরণ করেন। দীর্ঘদিন নিরবে তার নির্যাতন সহ্য করছি। আজ তিনি বেশী বাড়াবাড়ি করেছে। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ছাত্রীদেরও অভিযোগের শেষ নেই। এর আগেও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এলকাবাসি ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছে। তারপরেও তার চরিত্র বদলায়নি।

ঘটনার পর পরেই মাদরাসায় ছুটে আসেন অভিভাবকরা। এ সময় জহিরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান. অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। তাকে আমরা এ মাদরাসায় আর অধ্যক্ষ হিসেবে আর দেখতে চাই না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিব রিমা বলেন, ভিকটিমের কথা শুনেছি। তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads