সংঘাতের দুই সপ্তাহ
শতাধিক আসনে মামলা হামলা সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে শেষ হল একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রচারনা।
দুই সপ্তাহেই হামলা-মামলা-ভাংচুর ছড়াল শতাধিক আসনে ।
বিশেষ প্রতিনিধি
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। হাতে মাত্র দুদিন। তফসিল ঘোষণা ও প্রতীক বরাদ্দের পর গেল দুসপ্তাহে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসন থেকে আসছে হামলা-মামলা-ভাংচুর ও সংঘর্ষের খবর। এর মধ্যেই যার সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে শেষ হয়েছে প্রচার প্রচারনা। কোথাও আওয়ামীলীগের অভিযোগ তাদের উপর হামলা হয়েছে কোথাও বিএনপি আর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের অভিযোগ হামলায় আহত হয়েছে খোদ প্রার্থী নিজেই। পাল্টা পাল্টি অভিযোগ থাকলেও সংবাদ পত্র আর টেলিভিশন চ্যানেল গুলোর দিকে তাকালে চিত্র খুবই পরিস্কার। এর মধ্যে নব নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার গত বৃহস্পতিবার সল্পসময়ের নোটিশে প্রধান নির্বাচন কমিশনারে সাথে সাক্ষাতের পর সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বলেন 'দৃশ্যত বিরোধী দলের প্রার্থীরাই হামলার সিকার হচ্ছে বেশি। নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে আসনগুলোর একাধিক ঘটনার মধ্যথেকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনাগুলি তুলে ধরা হল।
১. ঢাকা ১ আসনে সালমান এফ রহমানরে কর্মীদের দারা একাধিকবার হামলার শিকার হন বিএনপির আশফাক, পরে, তার প্রার্থীতা বাতিলের পর। স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলামের গাড়িতেও হামলা করা হয় । এসময় একাাাধি সাংবাদিকদের মারধোর করে আটকে রাখার খবর প্রকাশিত হয়। বর্তমানে সালমা ইসলামকে বিএনপি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
২.ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা)২৫ ডিসেম্বর ফখর ঊদ্দিন আহমেদের বাস ভবনে হামলা। কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু (আ লীগ) এই হামলায় চারজন পুলিশ শ মোট ১৫ জন আহত।
৩. ঢাকা ২ ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক আমানের প্রচার মিছিলে হামলা চালালে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক আমানের হাত ভেঙ্গে যায়।
৪. নোয়াখালি ৬ (হাতিয়া) আয়েশা ফেরদউস (আ লীগ) মোঃ ফজলুল আজীম (বিএনপি) ১৩ ডিসেম্বের দুই গ্রুপের ১৫ জন আহত।
৫. জামালপুর- (মেলন্দহ) ১০ ডিসেম্বর দুই দলের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত ।
৬. ঢাকা-৩, ২৫ ডিসেম্বর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নির্বাচনী প্রচারণা কালে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত হন এই ঘটনায় আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের ৩ জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৭. পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) ১৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের শতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুর রহমান ও মহাজোটের প্রার্থী ( জাতীয় পার্টির) ডাঃ রস্তম আলী ফরাজির সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে আহত ৮ জন।
৯. কিশোরগঞ্জ-৬, ১২ ডিসেম্বর; বিএনপির নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বিএপির প্রার্থী শরিফুল আলম, পুলিশের এসআই আহসানসহ ১৫ জন আহত।
১০. চুয়াডাঙ্গা-২, ১২ ডিসেম্বর; জীবন নগর উপজেলায় বিএনপি অফিস ভাংচুর করেছে দুর্বত্তরা, এ ঘটনায় আহত হয়েছে বিএনপির ৪ নেতাকর্মী।
১১. গাজিপুর-১, ১২ ডিসেম্বর; বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী চৌধুরী তানভীর আহম্মদ সিদ্দিকী নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
১২. নাটোর-৩, ১২ ডিসেম্ভর; বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়। এ ঘটনায় আহত জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
১৩. ডিসেম্বর ১১ তারিখে চুয়াডাঙ্গার রায়পুর চৌরাস্তার মোড়ে নির্বাচনী অফিস উদ্ধোধন করেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান। উদ্ভোধন শেষ হতেই দুবৃত্তরা হামলা চালিয়ে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম করে।
১৪. মুন্সিগঞ্জ-১, ১৯ ডিসেম্ভর; মহাজোট প্রার্থী মাহি বি চৌধুরীর পৈত্রিক বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আটপাড়া গ্রামের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়।
১৫. রাজশাহীর বাঘমাড়ায় ১৯ ডিসেম্ভর গণসংযোগে বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
১৮. চট্টগ্রাম-৭ সংসদীয় আসনে ১৯ ডিসেম্ভর ধানের শীষের প্রার্থী নূরুল আলমের গণসংযোগে হামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত হন।
১৯. নাটোর-২, ১৯ ডিসেম্ভর নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি বহরে হামলায় এ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন ছবির হাত কেটে যায়। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়।
২০. ঝিনাইদহের মহেশপুরে ১৮ ডিসেম্ভর রাতে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে ভাংচুর করে দুর্বত্তরা। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়।
২১. পাবনার সাথিয়ায় ১৯ ডিসেম্ভর রঘুনাথপুর বাজার ও জোরগাছা বাজারে অবস্থিত নৌকার প্রচার অফিসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। একই সময়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টির জন্য দুর্বত্তরা বোমা ফাটায় ও গুলি বর্ষন করে। এ ঘটনায় ৪ জন আটক হয়েছে।
২২. ঝিনাইদহের সদর উপজেলার চোরকোল বাজারে ১৯ ডিসেম্ভর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে উপস্থিত ৮/১০জনকে দুর্বৃত্তরা মারধোর করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩০ টি হাতবোমা উদ্ধার করেছে।
২৩. পিরোজপুর-৩, ১৯ ডিসেম্ভর, মঠবাড়িয়া আসনে মহাজোট প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৃথক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন।
২৪. চট্টগ্রামের বাঁশখালির মধ্যম সরল গ্রামে ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর গণসংযোগে সন্ত্রাসী গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে অন্তত ২২ জন আহত হন।
২৫. নোয়াখালি-৪, ২২ ডিসেম্বর, সুবর্ণ চর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা কালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে কয়েকটি মটর সাইকেল ও নির্বাচনী অফিস।
২৬. ১০ নভেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নির্বাচনী সংঘর্ষের মধ্যে গাড়ি চাপায় দুই কিশোরের মৃত্যু ঘটে।
২৭. ২৬ ডিসেম্ভর, খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিএনপির প্রার্থী মোঃ শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়ার প্রচারণায় বাধা দেয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
২৮. ২৫ ডিসেম্ভর, কক্সবাজার রামু উপজেলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতা দেয়াকে কেন্দ্র করে নিজেদের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এতে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হন। উভয়পক্ষের আহত হন আরো অন্তত ১০ জন।
২৯. পাবনা-৪, ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে ২৬ ডিসেম্ভর গণসংযোগ কালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
৩০. ঢাকা-১৬, ২৬ ডিসেম্বর, বিএনপির প্রার্থী আহসান উল্লাহ আহসানের প্রচার মিছিলে হামলার ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত।
৩১. টাঙ্গাইল-৬, নাগরপুরে ২৫ ডিসেম্বর রাতে নৌকার নির্বাচনী কার্যলয়ে ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হন বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীসহ অন্তত ২০ জন।
৩২. ২৫ ডিসেম্ভর, সিরাজগঞ্জে তাড়াশে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
৩৩. বাগের হাট-৩ আসনের রামপালে নৌকা ও ধানের শীষ সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট শেখ আবদ্দুল ওয়াদুদের মাথা ফেটে গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
৩৪. ২৫ ডিসেম্ভর, লক্ষিপুর ৪ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের ৪ টি নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
৩৫. ২৫ ডিসেম্ভর, চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে পেট্টোল বোমা বিস্ফোরণে ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।
৩৬. ২৪ ডিসেম্বর, বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ গণসংযোগ করার সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে তার তিনটি গাড়ি ও নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে।
৩৭. ২৪ ডিসেম্বর, নরসিংদীর পলাশে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ডক্টর আব্দুর মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে তার ব্যক্তিগত সহকারিসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
৩৮. ২৪ ডিসেম্ভর, শরিয়তপুর ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিয়া নূরুদ্দিন আহমেদ অপুর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনায় বিএনপির অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
৩৯. ২৪ ডিসেম্ভর, জামালপুরের শরিষাবাড়িতে বিএনপির অফিসে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত হন।
৪০. ২৪ ডিসেম্ভর, ফেনির সোনাগাজিতে ২ আওয়ামী লীগ কর্মীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করেছে।
৪১. ২৪ ডিসেম্ভর, নোয়াখালির কোম্পানিগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের গাড়ি বহরে হামলা করে। হামলাকারীরা এ সময়ে দুটি গাড়ি ভাংচুর ও ৫ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম করে।
৪২. ২৪ ডিসেম্ভর, লক্ষ্ণিপুর ৩ সদর আসনে বিএনপির প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির প্রচারণায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এ্যানিসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন।
৪৩. ২২ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় দলীয় কার্যালয় ও যানবাহন ভাংচুরসহ ১০ জন আহত।
১০ ডিসেম্ভর প্রতীক বরাদ্দের দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ
৪৪. নাটোর-১ আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম বিমল কয়েকজন কর্মী নিয়ে মাইক্রোবাসে লালপুরের একটি জানাজায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস লালপুর ত্রিমোহনীর স্কুলগেটের কাছে পৌঁছলে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীরা মাইক্রোবাসটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে। তারা মনজুরুল ইসলাম বিমল ও তার কর্মীদের বেধড়ক পেটায়। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তাদের লালপুর ফিলিং স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। গোপালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন বলে জানা যায়।
৪৫. সিরাজগঞ্জ : সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল, সারটিয়া ও ধুকুরিয়ায় সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে উভয়পক্ষে ৫ নেতাকর্মী আহত হন।
৪৬. আ.লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে গাংনীতে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম, পীরগঞ্জে হামলা : অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে মেহেরপুরের গাংনীর দুর্লভপুরে আওয়ামী লীগের একপক্ষের হামলায় অপরপক্ষের ৫ জন আহত হন।
৪৭. ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা শহরে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ইয়াসিন আলীর পক্ষে প্রচারকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদুল হকের সমর্থকরা হামলা চালায়। বিকাল ৫টায়
৪৮. খুলনা : নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল শেষ করে খুলনা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল মিছিলসহকারে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু দলীয় কার্যালয়ের অদূরে খুলনা সদর থানার মোড়ে তাদের মিছিলের গতি রোধ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুপুর ২টার পরে প্রচার মিছিল বের করতে পারবে। বেশকিছু সময় মিছিলটি থমকে থাকার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা ফের দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান।
৪৯.শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের লংগরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রথম নির্বাচনী পথসভা আহ্বান করে। বিকালে স্থানীয় যুবলীগের পক্ষে পাল্টা সভা আহ্বান করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিকাল ৩টায় সভাস্থানে অবস্থান নেয়। পরে ধানের শীষের পক্ষে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল আসতে শুরু করলে পুলিশ সভা করতে নিষেধ করে। এতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মাহমুদুল হক লংগরপাড়া-শ্রীবরদী সড়কে মিছিল করেন এবং স্থান ত্যাগ
৫০. চট্টগ্রাম : সীতাকু- উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারি ইউনিয়নের মুজিব চৌধুরীর বাড়িতে নির্বাচনী সভা চলাকালে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) আসনে বিএনপির প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরীর প্রায় ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
৫১.চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী আলহাজ এমএ হান্নান শোডাউনের উদ্দেশে ফরিদগঞ্জ উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে বিকাল সাড়ে ৪টায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে প্রবেশ করেন। পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
৫২. ঢাকা-৪, সালাউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন বাবলা, ২৫ ডিসেম্ভর সংঘর্ষ।
৫৩. ঢাকা-৮, আফরোজা আব্বাস, সাবের হোসেন চৌধুরী, সংঘর্ষ প্রতিদিন।
৫৪. ঢাকা- ৯, মির্জা আব্বাসের মিছিলে একাধিকবার হামলায় নেতা কর্মী স তিনি নিজে রাক্তাক্ত হন।্ন।এই আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন রাশেদ খান মেনন, প্রচারনার শেষ দুই দিন ঢাকা ৬ এবং ৯ দুটি আসনে প্রচারনায় প্রশাসনের পখথেকেই বাঁধা দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন আব্বাস দম্পতি।
৫৫. ঢাকা-১৪, আসলামুল হকের কর্মীরা এস এ সিদ্দিক সাজুর মিছিলে হামলা করে ১০ জনকে আহত করে,এসময়ে তারা প্রচারণায় কাজে ব্যবহার করা ৪টি গাড়ি ভাংচুর করে।
৫৬. ঢাকা- ১৯, দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু, এনামুর রহমান সংঘর্ষ ঘটে প্রপ্র দুদিন।
৫৭. হবিগঞ্জ-১ নবিগঞ্জ ও বাহুবল, রেজা কিবরিয়ার অভিযোগ তার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা করা হয় এবং বাড়িতে হামলা করা হয়, এ ব্যাপারে তিনি দায়ী করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে, ১৯ ডিসেম্ভর
৫৮. শেরপুর-১ সদর আসনে বিএনপির প্রার্থী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রিয়াঙ্কার ব্যক্তিগত সহকারিসহ ৬ জন আহত হয়েছে।
৫৯. ভোলা- ২ হাফিজ ইব্রাহীমের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। উল্টো সাতশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। বাসা দরজা-জানালা ভাংচুর।
৬০. ভোলা-৩ (লালমোহন আর তজুমুদ্দিন) এ আসনে মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদের বাসায় হামলা করেছে আওয়ামী লীগ। এবং লঞ্চের ভিতরেও হামলা।
৬১. ভোলা-৪ নাজিমুদ্দিন আলমের বাসায় প্রথমে হামলা পরে অবরুদ্ধ।
৬২. ১৭ ডিসেম্ভর, সাভারের আমিন বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে অন্তত ৪০ আহত
৬৩. মাদারিপুর ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মিল্টন বৈদ্যের বাড়ির পাশ আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৪জন আহত।
৬৪. চট্টগ্রাম-৫, হাট হাজারি, বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ মোঃ ইব্রাহীম, বীর বিক্রমের প্রচারণায় হামলা।
৬৫. সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে রায়গঞ্জে ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল মান্না তালুকদারের নির্বাচনী প্রচারণা কালে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত। ২৫ ডিসেম্ভর।
৬৬. কিশোরগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিনএনপি নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের উঠান বৈঠকে হামলা হয়। তিনিসহ ১৫ জন আহত। ২৫ ডিসেম্ভর।
৬৭. গাজিপুর-৪, কাপাসিয়ায় শাহ সিরাজুল আলমের গাড়ি বহরে হামলা হয়।
৬৮. মানিকগঞ্জ-২ বিএনপি প্রার্থী মঈনুল ইসলাম খান রিটার্নির কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হামলা হয়, ১৪ ডিসেম্ভর।
৬৯. ১৩ ডিসেম্ভর, নারায়ণ গঞ্জ ৩ আসনের , বিএনপির প্রার্থী আজহারুল হক মান্না ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করে হামলা করে সোনার গাঁ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠিক সম্পাদক রনি বিল্লাহ।
৭০. নোয়াখালি-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী জয়নাল আবেদিন ফারুকের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে তার গাড়ি ভাংচুর করা হয়। হামলায় বিএনপির ৭/৮জন নেতাকর্মী আহত হয়। ২৪ ডিসেম্ভর।
৭১. ১৩ ডিসেম্ভর, যশোর ৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের ওপর অতর্কিত হামলা হয়।
৭২. খুলনা-৩ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুলের গণসংযোগে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। ২৪ ডিসেম্ভর।
৭৩. পাবনা-১, (সাথিয়া ও বেড়ার একাংশ) এ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাঈদের গাড়ি বহরে হামলা হয়। গাড়ি ভাংচুর। একাধিক আহত।
৭৪. ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনরি প্রার্থী মুসলিম উদ্দিন ভুঁইয়ার নির্বাচনী সভায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা ও ভাংচুর করেছে। এ সময়ে ৪ জন আহত। ১৫ ডিসেম্ভর।
৭৫. ১২ ডিসেম্ভর, চাঁদপুর-১ কচুয়ায় বিএনপির প্রার্থী মোঃ মোশররফ হোসেনের ওপর হামলা হয়। এতে ৫ জন আহত।
৭৬. মির্জা ফখরুলের ইসলাম আলমগীরের নিজ একলা, ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণায় নামলে তার গাড়ি বহরে হামলা। ১১ ডিসেম্ভর।
৭৬। শরীয়তপুর-৩, বিএনপির প্রার্থী মিয়া অপুর গাড়ি বহরে হামলা।
৭৭। কুমিল্লা-৫, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ ইউনূসের কুমিল্লা শহরের বাড়িতে ২০ ডিসেম্ভর রাতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে একটি প্রাডো গাড়ি ভাংচুর, গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
৭৮. ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালিদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। এ সময়ে দুর্বৃত্তরা ৪ টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ২২ ডিসেম্ভর।
৮৯. গাজিপুর-৫, কারাবন্দি ফজলুল হক মিলনের স্ত্রী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সম্পা হকের প্রচারণায় হামলা। ২৫ ডিসেম্ভর।
৮০. মুন্সিগঞ্জ-২ বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহার গাড়িতে হামলা। ২৫ ডিসেম্বর রোববার এ ঘটনায় তার স্ত্রী- ছেলেমেয়ে সহ ৫ জন আহত।
৮১. ১৩ ডিসেম্বর, নরসিংদী-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী সরদার শাখাওয়াত হোসেন বকুলের নির্বাচনী সভায় হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা ১১ টি মটর সাইকেল আগুনে পুড়িয়েছে। ভাংচুর করেছে ৩ টি প্রাইভেট কার। এ সময়ে বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
৮২. নোয়াখালি ১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গণসংযোগ কালে গুলিতে আহত হন। ১৫ ডিসেম্ভর।
৮৩. চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) বিএনপি প্রার্থী মোঃ আজিমুল্লাহ বাহারের ওপর হামলা হয়। হামলাকারী মহাজোটের সমর্থিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির লোকজন। ১৮ জন আহত।
৮৪. চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রাথী আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী কার্যালয়ে ২২ ডিসেম্ভর হামলা।
৮৫. কুমিল্লা-১১, (নাঙ্গলকোট ও লালমাই সদরের একাংশ) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দোকানপাট, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ।
৮৬. যশোর-৩, বিএনপির প্রাথী অনিন্দ্য ইসলামের গণসংযোগ থেকে ৪ জন কর্মী তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় লালদিঘি পাড়ে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর।
৮৭. জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা। বিএনপির ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা। অজ্ঞাত ৪০-৫০ জন।
৮৮. বগুরা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নাগরিক ঐক্য নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ১৯ ডিসেম্ভর।
৮৯. নাটোর-৪, ২৫ ডিসেম্ভর, নৌকা ও লাঙ্গলের কর্মীদের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর।
৯০ . বরিশালের উজিরপুর দামুড়া বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ আলম তালুকদারের সমর্থক ও বিএনপি প্রার্থী সরদার সরফউদ্দিন সান্টোর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। ১০ জন আহত। বিএনপির ৫১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা।
৯১. বগুড়া-৬ আসনে ১৯ ডিসেম্ভর কমিউনিস্ট পার্টি ও জাতীয় পার্টি দুটি নির্বাচনী পথসভায় হামলা, ভাংচুর ও হাত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
৯২. যশোর-৪ বাগারবাড়া অভয়নগর উপজেলায় বিএনপির ১২ জন পোলিং এজেন্টসহ ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষ।
৯৩. মাদারিপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আল-আমিন মোল্লার পোস্টার লাগাতে গেলে শাহাহান খানের কর্মীরা মারদোর করে।
৯৪. নীলফামারি-১ ডোমরা ও ডিমলায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাফর ইকবাল সিদ্দিকীর প্রচারণা মিছিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফতাবউদ্দিন সরকারের সমর্থকরা ডিমলা থানার ওসি মফিজউদ্দিনকে নিয়ে হামলা চালায়।
৯৫. মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) শাহ মোহাজ্জেম হোসেন সংবাদ সম্মেল করে বলেন,পুলিশ ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের লোকজন তাদের প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে ও হামলা করছে।
৯৬. জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির সভাপতি মোঃ ফয়জুল ইসলামকে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতারের সময় পুলিশ গুলি চালায়।
৯৭. নরসিংদী-৩ শিবপুরে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুর এলাহীর নির্বাচনী ক্যাম্প দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। ২২ ডিসেম্ভর। এতে এক মাদ্রাসার ছাত্রী গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত।
৯৮. ঝালকাঠি-১, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ।
৯৯. ফরিদপুর ৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের নির্বাচনী গণসংযোগকালে ১৯ ডিসেম্ভর হেলমেট বাহিনী হামলা চালায়।
১০০. ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়া রহমানের প্রচারণায় বাধা, দেশীয় অস্ত্র সহকারে হামলা
১০১. হবিগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ডাঃ আহমদ আব্দুল কাদেরের পথসভায় ২২ ডিসেম্ভর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এছারাড়াও আরও নানা ধরনরে মামলা হামলায় র্জজরতি রয়ছেে একাধকি আসন।