লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সদর উপজেলার পশ্চিম নন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে আহতদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
আজ রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ধানের র্শীষ প্রতিকের সমর্থকরা পুলিশ বহনকারী দুটি গাড়ী (মাইক্রো ও লেগুনা) ভাংচুর ও একটি অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে একটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত আপেল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে তারা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ৩০ মিনিট ভোট গ্রহন বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আধা ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ভোট গ্রহন চলছে, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক পুলিশের মতামত সম্ভব হয়নি।
অপর দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুরের (রায়পুর) পাবর্তীনগর ইউনিয়নের মর্কধ্বজ আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রের পাশে বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের ভৃঁইয়ার সমর্থকদের হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন ভৃঁইয়া গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুরে সদর হাসপাতালে চেয়ারম্যানের স্বজনরা জানান, ধানের শীর্ষ প্রতীকের সমর্থকরা কোন কারন ছাড়াই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালায়।
হামলায় চেয়ারম্যানের হাত, পা ও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগে। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত (স্বতন্ত্র) প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল হাসপাতালে তাকে দেখতে যায়। উল্লেখ যে, এ আসনে মহাজোট প্রার্থী মো: নোমান নির্বাচন থেকে সরে যায়।
