সারা দেশ

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরালো হচ্ছে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ায় সংখ্যালঘু হচ্ছে স্থানীয়রা

  • মো. রেজাউর রহিম
  • প্রকাশিত ৩০ অগাস্ট, ২০১৯

নানা তৎপরতার পরও বারবার ভেস্তে যাচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে প্রত্যাবাসন। পরপর দুই দফা তারিখ নির্ধারণের পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তৎপরতা চালালেও মিয়ানমারের বিভিন্ন কূটকৌশল এবং দেশি-বিদেশি অসাধু চক্রের অপতৎপরতায় তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ফলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা টেকনাফ-কক্সবাজার এলাকায় সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছেন। অন্যদিকে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ক্রমান্বয়ে জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ঝুলে যাওয়ায় সরকারি নীতিনির্ধারক মহলেও বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ সমস্যার সমাধানে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।   

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। এজন্য জাতিসংঘসহ ভারত, চীন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দু’দফা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ভেস্তে যাওয়ায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি মাদক কারবারি এবং কক্সবাজারে কর্মরত এনজিওগুলোর কার্যক্রমও খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, মিয়ানমার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে না। উল্টো মিয়ানমার এখন বাংলাদেশকেই দুষছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকার পরও রোহিঙ্গাদের রাজি করাতে এবং নিজ বাসভূমে ফেরাতে মিয়ানমার সরকার ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, বাসস্থান ফিরিয়ে দেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এছাড়া সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের সমাবেশ নিয়েও উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ। এ বিষয়ে যারা রোহিঙ্গাদের সংঘবদ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এছাড়া মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরো জোরালোর মাধ্যমে এ সংকটের সমাধানের চেষ্টা চলছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত আছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে একটি মহল। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে বিদেশি এনজিওগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করে ওবাযদুল কাদের বলেন, এনজিওগুলোর পাশাপাশি আমাদের দেশীয় কিছু গোষ্ঠীও রোহিঙ্গাদের নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে, তাদের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে এনজিওগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিটি বলেছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিদেশি এনজিওগুলো বরাদ্দের চার ভাগের তিন ভাগই তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়া-যাতায়াত ও বেতন-ভাতা প্রদানে ব্যয় করছে। ছয় মাসে এসব এনজিওর কর্মকর্তাদের শুধু হোটলে থাকা-খাওয়া বাবদ বিলের পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকা এবং তাদের জন্য ফ্ল্যাট ভাড়ায় আরো আট কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এদিকে গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্বিতীয় দফায় ব্যর্থ হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি জানিয়েছে, কক্সবাজার অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে কাজ করা কিছু এনজিওর অতি উৎসাহী তৎপরতা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলকায় কর্মরত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত এনজিওগুলোকে চিহ্নিত ও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেছে কমিটি।

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ফেরত পাঠাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কোনো গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকার প্ররোচনা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত কিছু দেশি-বিদেশি এনজিওর তালিকা করে তাদের নজরদারির আওতায় আনা হবে।

সূত্র জানায়, একদিকে মিয়ানমার সরকারের টালবাহানা ও নানারকম কূটকৌশল, অন্যদিকে বাংলাদেশের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য এনজিওগুলোর বাড়তি ‘দরদ’-এর কারণে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এনজিওগুলোর পাশাপাশি স্থানীয় একশ্রেণির প্রভাবশালী রোহিঙ্গাদের মধ্যকার নেতৃত্ব স্থানীয় কিছুসংখ্যক ব্যক্তি ও মাদক ব্যবসায়ী মিলে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে আনছে। স্থানীয় একটি চক্র রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে মাদক পাচারসহ নানা কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কক্সবাজোরের টেকনাফ অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই আশ্রিত রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আরেকটি দিক হচ্ছে, আশ্রয় নেওয়া প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশি। ফলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা টেকনাফে ‘সংখ্যালঘু’তে পরিণত হওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অনেকেই ইয়াবাসহ বিভিন্ন রকম মাদকদ্রব্যের ব্যবসার পাশাপাশি নানা ধরনের আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আর আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা দিন দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও বড় ধরনের হুমকি হয়ে উঠছে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া অনেক রোহিঙ্গা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যেতে চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় এবং বিশেষ করে শহরাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যাওয়ার অপচেষ্টাও চালাচ্ছে অনেক রোহিঙ্গা। গত বুধবার সিলেটের কানাইঘাটে ১৪ রোহিঙ্গা এবং দুই দালালকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, তিনজন নারী ও ছয়জন শিশু রয়েছে। কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগর মমতাজগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়।

এনজিও ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার অঞ্চলে বর্তমানে বিদেশি ২০টি এবং প্রায় জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে শ খানেক এনজিও কাজ করছে। এসব এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয়ের কথা বলে বিভিন্নভাবে ফান্ড সংগ্রহ করলেও এসব অর্থের বড় অংশ ব্যয় করা হচ্ছে কর্মকর্তাদের পেছনে। কর্মকর্তাদের দামি গাড়ি, উচ্চ বেতনে চাকরি ও দামি হোটেলে থাকা-খাওয়াসহ বিলাসী জীবনযাপনে এসব অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

জানা গেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় কাজ করা এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত না যাওয়ার জন্য নানারকম প্ররোচনা চালাচ্ছে। রোহিঙ্গারা এদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর এসব দেশি-বিদেশি এনজিওর কার্যক্রমের পুরোটাই রোহিঙ্গাকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। এসব এনজিওর নেতিবাচক কার্যক্রমে দিন দিন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আরো বাড়তি জটিলতার মুখে পড়ছে।

এ ব্যাপারে এনজিও ব্যুরোর মহপরিচালক কে এম আবদুস সালাম জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় নেওয়া এলাকায় এনজিও ও বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিতে স্থানীয়ভাবে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয় সেজন্য টেকনাফ-কক্সবাজার এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।  

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মূলত এনজিওগুলো তাদের নিজস্ব ব্যবসা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ‘ফান্ড’ পেতে রোহিঙ্গা সমস্যা জিইয়ে রাখতে চাইছে এবং রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত করতে নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে এজন্য এদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরো জটিলতায় পড়তে পারে বলে শঙ্কা সৃস্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ফলে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। স্থানীয় জনগণও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। কিন্তু ক্রমে স্থানীয় জনগণই সেখানে সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারকেই রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা বাসভূমের ওপর আস্থা ফেরানোর কাজটি করতে হবে। তবে কিছু এনজিও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে কাজ করছে। রোহিঙ্গারা এদেশে থাকলে তাদের ‘ফান্ড’ পেতে সুবিধা হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক তৎপরতা ও মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গদের নিজ দেশে প্রত্যাবসন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করার জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণের সময় এ বিষয়টি বিশ্ব ফোরামে আলোচনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি সুরাহার জন্য চীন, ভারতসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কূটনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত উচ্ছেদ অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আশ্রয় নেয় আরো প্রায় চার লাখ। সব মিলে মোট সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads