রুপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আধুনিকায়নে ৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

রুপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আধুনিকায়নে ৫০ কোটি ডলার দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক

ছবি সংরক্ষিত

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রুপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আধুনিকায়নে ৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২৭ জুন, ২০১৮

খুলনায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জাতীয় গ্রীডের সঙ্গে যুক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা আধুনিকায়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ৫০ কোটি বা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে। সংস্থাটির পরিচালনা পর্যদ গতকাল এই ঋণের অনুমোদন দেয়।

এডিবির জ্বালানী বিশেষজ্ঞ আজিজ ইউসুপ বলেন, অগ্রসরমান অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান জ্বালানী চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত রুপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এভাবে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এতে পর্যাপ্ত সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব জ্বালানী উৎপাদন হবে।

তিনি বলেন, রুপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধুনিকায়নের ফলে অতিরিক্ত তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে; একইসঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান তৈরি করবে।

এডিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলছে,উৎপাদন ঘাটতির কারণে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব এবং ব্যবহার উপযোগী বিদ্যুতের স্বল্পতা রয়েছে। ২০১৭ সালে পিক আওয়ার বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল দশ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট,অথচ এ সময়ে উৎপাদন হয় নয় হাজার ৪৭৯ মেগাওয়াট।

সংস্থাটির মতে ২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ চাহিদা তৈরি হবে ১৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৫ সালে এটি বেড়ে দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। তাই বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় নিয়মিত আধুনিকায়ন জরুরি।

টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে, যাতে ২০২১ সাল নাগাদ প্রত্যেককে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা যায়।

এডিবি অর্থপুষ্ট প্রকল্প রুপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সর্বশেষ সমন্বিত প্রযুক্তি নিশ্চিত করবে। যাতে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ রূপান্তরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দক্ষতা পাওয়া যাবে। এছাড়া তরল বর্জ্য বিশুদ্ধ পানিতে রূপান্তর করা হবে।
রুপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রকল্পের আওতায় ১২ কিলোমিটার গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ২৩০ কিলোভোল্ট সুইচইয়ার্ড এবং জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ২৯ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণে অর্থায়ন করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।এর মধ্যে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ৩’শ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ সরকার ৩৩৮.৫ মিলিয়ন এবং বাকী অর্থ এডিবি ব্যয় করবে।২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads