ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও হাতিমারায় নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন। নানিয়ারচর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা এই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ পর্যন্ত বড়কুল থেকে ৪ জন এবং ধর্মচান থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ৩নং বুড়ঘাট ইউনিয়নের ধর্মপাশা কার্বারি পাড়ার স্মৃতি চাকমা (২৩) ও তার ছেলে আয়ুব দেওয়ান। নিহত এই দু’জন সম্পর্কে মা-ছেলে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন ১ সাবেক্ষং ইউনিয়নের বড়কূল পাড়ার মহিলা মেম্বারের ছেলে রোমেন চাকমা (১৪), ২নং নানিয়ারচর ইউনিয়নের বড়কূল পাড়ার সুরেন্দু চাকমা (৫৫), রাজ্যদেবী চাকমা (৫০) ও সোনালী চাকমা (১৩)।
জানা গেছে, সোমবার ভোর রাতে বুড়িঘাট ইউনিয়নের ধরমপাশা কার্বারি পাড়ার একটি পরিবার মাটিচাপা পড়ে। এই দুর্ঘটনায় স্মৃতি চাকমা ও তার ছেলে আয়ুব চাকমা মারা যান। সকালে একই পরিবারের ফুলজীবী চাকমা ও ইতি দেওয়ান নামে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ভারি বর্ষণে ফলে বগাছড়িতে জনতা বৌদ্ধ বিহার ধসেরও খবর পাওয়া গেছে। নানিয়ারচর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমরা পাহাড় ধসের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে না যাওয়া পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না।’
দুই দিন ধরে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে প্রচার চালিয়ে আসছিলো স্থানীয় প্রশাসন।