রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন ও ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ষাণ্মাসিক নিউজলেটারের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল হামিদ এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, জাতীয় অ্যাক্রেডিটেশন কর্তৃপক্ষ হিসেবে দেশে মান অবকাঠামো ও সাজুয্য নিরূপণ পদ্ধতির উন্নয়ন, দেশীয় পণ্য ও সেবার মানোন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান এবং আমদানিকৃত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গতকাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএবির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মনোয়ারুল ইসলাম। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থার প্রধান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিএবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন আইন অনুযায়ী বোর্ডের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে প্রতিবছর বিএবি বার্ষিক প্রতিবেদন এবং নিয়মিত ষাণ্মাসিক নিউজলেটার প্রকাশ করে থাকে যার মাধ্যমে বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম, গঠন কাঠামো, বাজেট, কার্যপরিধি, কর্মবিন্যাস এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়। বিএবির মহাপরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিস্বরূপ টেস্টিং এবং ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (এপিএসি) (প্রাক্তন এপলাক) ও আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশনের (আইলাক) পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনসহ ২০১৫ সালে পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ) স্বাক্ষর করেছে। এতে করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিএবির কার্যক্রম স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কারিগরি বাধা (টিবিটি) অপসারণের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের রফতানি বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করছে। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে এমআরএ নবায়নের লক্ষ্যে এবং মেডিকেল ল্যাবরেটরি ও পরিদর্শন সংস্থার ক্ষেত্রে এমআরএ অর্জনের জন্য বিএবি এপিএসি কর্তৃক মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে।
শিগগিরই বিএবি ওই ক্ষেত্রসমূহে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করবে।
বিএবি মহাপরিচালক বলেন, সরকার ঘোষিত ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বিএবি জোরালো ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া বিএবি বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা, এসডিজি, নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে, উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ণসহ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।