যাত্রী সঙ্কটে ভয়াবহ বিপর্যয়ে হজ ফ্লাইট

হজ ফ্লাইট

সংরক্ষিত ছবি

ধর্ম

যাত্রী সঙ্কটে ভয়াবহ বিপর্যয়ে হজ ফ্লাইট

১০টি বাতিল, আরো ৬টির আশঙ্কা

  • কামাল মোশারেফ
  • প্রকাশিত ৪ অগাস্ট, ২০১৮

হজযাত্রী সঙ্কটে একের পর এক বাতিল হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইট। প্রতিদিনই কিছু আসন খালি রেখেই উড়তে হচ্ছে বিমানকে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এতে চার হাজারের বেশি যাত্রী বহনের ক্যাপাসিটি হারিয়েছে বিমান। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত আরো ৬টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, এ বছর বিমানের জন্য নির্ধারিত স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোনো স্লট বরাদ্দ করা হবে না বলে জানিয়েছে সৌদি অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সব হজযাত্রীর সৌদি আরবে পৌঁছানোর বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

গত ১৪ জুলাই শুরু হয়ে প্রথম কয়েক দিন স্বাভাবিকভাবেই চলে এ বছরের হজ ফ্লাইট। তবে গত ২৭ জুলাই থেকে যাত্রী সঙ্কটে হজ ফ্লাইট বাতিল শুরু হয়। ওই দিন দুটি ফ্লাইট বাতিল হয় বিমানের। ৩১ জুলাই ১টি, ১ আগস্ট ২টি ও বৃহস্পতিবার ২টি। এরপর গতকাল শুক্রবার বিজি৫০৬৩, বিজি১০৬৩ এবং বিজি৭০৬৩ ফ্লাইট তিনটি বাতিল করে বিমান।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব ফ্লাইটে মোট চার হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। এখনো ৫ হাজার ৭০০ টিকেট অবিক্রীত। সময়মতো এসব টিকেট বিক্রি না হলে আজ শনিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত আরো ৬টি হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৪০০ হজযাত্রী যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু যাত্রী সঙ্কট থাকায় ফাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এভাবে যাত্রী সঙ্কট চলতে থাকলে বিমানের এই লোকসানের পরিমাণ আরো বাড়বে।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, যাত্রী স্বল্পতায় গত ২৭ আগস্ট থেকে আজ (শুক্রবার) পর্যন্ত ১০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এ কারণে বিমানের ক্যাপাসিটি লস হয়েছে ৪ হাজার।  আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত আরো ৬টি ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হজ এজেন্সিগুলোর কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে জানিয়ে শাকিল মেরাজ বলেন, আমরা প্রতিদিনই ৫২৮ হজ এজেন্সিকে ই-মেইলের মাধ্যমে কোন ফ্লাইটে কত সিট খালি আছে সে বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ এবং দ্রুত টিকেট নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছি। তারা টিকেট নিশ্চিত করলে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা লাগত না। তিনি আরো বলেন, এ বছর সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বিমানের জন্য নির্ধারিত স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোনো স্লট বরাদ্দ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাই ফ্লাইট বাতিলের ধারা অব্যাহত থাকলে বহু হজযাত্রীর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে।

এ বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন ‘হাব’ মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, আমরা বিমানকে হজযাত্রার আগেই সব তথ্য দিতে বলেছি। কিন্তু তারা এজেন্সিকে কোনো তথ্য দেয় না। এখন বিমানযাত্রীর অভাবে ফ্লাইট বাতিল করছে। এজন্য তারাই দায়ী, এর দায়ভার তাদেরই নিতে হবে এবং সমাধান করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads