সৈয়দ মো. মাসরুর রহমান
স্মার্টফোনে বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বাড়াতে মেমোরি কার্ডের জুড়ি নেই। অধিকাংশ ব্যবহারকারীই বাড়তি স্টোরেজ স্পেসের জন্য বিভিন্ন ধারণক্ষমতার মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। তবে অনেক সময়ই দেখা যায় ফোনে কিংবা কম্পিউটারে মেমোরি কার্ডে প্রবেশ করানো যাচ্ছে না কিংবা এর ভেতরে থাকা ফাইল দেখাচ্ছে না। এ সমস্যা হতে পারে একই মেমোরি কার্ড একাধিক ডিভাইসে ব্যবহারের কারণে। এর ফলে মেমোরি কার্ডে ব্যাড সেক্টরের কারণে কিছু অংশ কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে পুরো কার্ডেই সমস্যা দেখা যায়। এ সমস্যা সমাধানে আজ থাকছে দুটি সমাধান-
মেমোরি কার্ডের নাম পরিবর্তন করে
যদি কম্পিউটারে যুক্ত করার পর মেমোরি কার্ডে থাকা তথ্য ঠিকঠাকভাবে না দেখায় তাহলে কার্ডের ড্রাইভ নাম পরিবর্তন করে এর সমাধান মিলতে পারে। এ জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে-
১. প্রথমেই মেমোরি কার্ডটি কম্পিউটারে যুক্ত করতে হবে।
২. এবার This PC আইকনে রাইট ক্লিক করে Manage অপশনে ক্লিক করুন।
৩. এরপর যে উইন্ডো ওপেন হবে সেখানে বাম দিকে থাকা মেন্যু লিস্ট থেকে Disk Management অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৪. এবার মেমোরি কার্ড খুঁজে বের করে তাতে রাইট ক্লিক করুন।
৫. এরপর Change Drive Letter and Paths অপশনে ক্লিক করে Change অপশন সিলেক্ট করতে হবে এবং মেমোরি কার্ডের জন্য একটি নতুন ড্রাইভ লেটার অ্যাসাইন করতে হবে।
এই ধাপগুলো সম্পন্ন হলে মেমোরি কার্ডটি খুলে আবার কম্পিউটারে যুক্ত করুন। অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে মেমোরি কার্ডটি পুনরায় কার্যকর হবে।
কম্পিউটার ব্যবহার করে মেমোরি কার্ড রিপেয়ার
যদি প্রথমে দেখানো পদ্ধতি কাজ না করে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে এগোতে হবে। এ পদ্ধতিতে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের নিচের ধাপ অনুসরণ করতে হবে-
১. This PC থেকে প্রথমেই মেমোরি কার্ড ড্রাইভে রাইট ক্লিক করে Properties অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
২. এবার প্রোপার্টিজ উইন্ডো থেকে Tools সিলেক্ট করতে হবে।
৩. এরপর Check বাটনে ক্লিক করে মেমোরি কার্ড স্ক্যান করলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবে এবং সেগুলো ফিক্স করবে।
এর বাইরে কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করেও রিপেয়ার করা সম্ভব। এর জন্য কমান্ড প্রম্পট চালু করে chkdsk লিখে স্পেস দিয়ে ড্রাইভ লেটার লিখে আরেকটি স্পেস দিয়ে/f লিখে এন্টার বাটন চাপতে হবে। রিপেয়ার করার জন্য/f না লিখে এর পরিবর্তে/r লিখতে হবে।
সফটওয়্যারের মাধ্যমে
উপরের দুটি পদ্ধতি ছাড়াও Recuva, Rescue Pro, easeUS partition প্রভৃতি সফটওয়্যার ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
তবে এর পরও যদি মেমোরি কার্ড সচল না হয় সেক্ষেত্রে মেমোরি কার্ডটি ফরম্যাট করার মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা যাবে।