কেউ জমি চাষ দিচ্ছে। কেউ দিচ্ছে নিড়ানী। অনেকে আবার সদ্য বেড়ে ওঠা গাছের পরিচর্যাসহ পোকার আক্রমন হয়েছে কিনা পরীক্ষা করছে। এমন চিত্র এখন পটুv. য়াখালীর বিxbস্তীর্ন আবাদী মাঠ cজুড়ে। আমন ধান উঠার সাথে সাথে এভাবেই jdআবাদী মাঠে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর তরমুজ, মরিচ, বাদাম, আলু, ডালসহ বিভিন্ন রবিশষ্য চাষীরা। আনুকুল আবাহাওয়া ও পোকার আক্রমন না হলে এবারও রggffবিশষ্য চাষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। অপgjfeessbnরদিকে বাজার মূল্য ভালো পেলে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়া যাবে, এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরে ভাল ফলনসহ কাঙ্খিত মূল্য পাওয়ায় এ বছর রবিশষ্য চাষের জমি বেড়েছে। তরমুজ, ডাল, মরিচ, বাদাম ও শীতকালীন বিভিন্ন সবজিসহ প্রায় ২৫ প্রকারের অনান্য ফসলের চাষ হচ্ছে জেলার ৮টি উপজেলায়। চলতি রবি মওসুমে তরমুজের নগরী খ্যাত রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর, গলাচিপা উপজেলায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর, কলাপাড়া উপজেলায় ২ হাজার হেক্টরসহ এ তিন উপজেলাতেই মোট সাড়ে ষোল হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। হেক্টর প্রতি ৪০ মেট্রিক টন হিসাবে এ তিন উপজেলায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। যার বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭৭কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। উৎপাদন খরচ ২০৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে কৃষক পর্যায়ে পাচ্ছে প্রায় ৩৭১ কোটি টাকা।
রাঙ্গাবলী উপজেলায় সাড়ে ৩’শ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি, ২’শ হেক্টর জমিতে খিরাই, পনের’শ হেক্টর জমিতে ফেলন, ৬’শ হেক্টর জমিতে খেসারী, ৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজিসহ ১১ হাজার ৩৬৮.২৫ হেক্টর জমিতে ২৩ ধরনের রবিশষ্য চাষ হচ্ছে। গলাচিপায় ৪’শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। হেক্টর প্রতি ৩০ টন হিসাবে প্রায় ১২ হাজার টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ। আলুর উৎপাদন ব্যায় ১৫৭কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আশা করছে ১৭৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের তরমুজ চাষী ইমাম হোসেন বলেন, এবছরে আমি ১০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। তাতে আমার শেষ পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে ৫লাখ টাকা। আর ফলন ভালো হলে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবো। তরমুজ চাষ করে লোকশানের শঙ্কা খুবই কম। আমাদের শঙ্কা শুধু পানি নিয়ে। সঠিক সময় মিঠা পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়া না গেলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে তরমুজের। আবার স্লইসঘেট দিয়ে লবন পানি ঢুকানো হলেও ক্ষতির সম্মুখিন হত হবে।
উপজেলার ছাতিয়ানপাড়া এলাকার তরমুজ চাষী নজরুল হাওলাদার জানান, ২কানী ২বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ভাল ফলন এবং মূল্য পেলে খরচ বাদে ৫/৬ লক্ষ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। বিগত বছরের
লাভের হিসাব তুলে ধরে একই এলাকার মরিচ চাষী নাজমুল জানান, ১ হেক্টর জমি মরিচ চাষে ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে তার লাভ হবে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বেশি।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অ:দা) আব্দুল মন্নান জানান, উপকূলীয় এলাকায় মিষ্টি পানির সংরক্ষন বাড়ানো গেলে উপকূলীয় এলাকায় রবিশষ্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।