নিকোলাস মাদুরো আরো ছয় বছরের জন্য ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বিরোধীরা এ নির্বাচন বয়কট ও ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছে। এ কারণে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খবর বিবিসি ও সিএনএন।
খবরে বলা হয়, গুরুতর অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে সৃষ্ট খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে গত রোববার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে মাত্র ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ন্যাশনাল ইলেকটোরাল কাউন্সিলের প্রধান তিবিসে লুচেনা ঘোষণা দেন, ৯০ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। মাদুরো পেয়েছেন ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ (প্রায় ৫৮ লাখ) ভোট। মাদুরোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হেনরি ফ্যালকন পেয়েছেন ২১ দশমিক ২ শতাংশ (১৮ লাখ) ভোট। ফ্যালকন ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া বৈধ নয়। ভেনিজুয়েলায় নতুন করে নির্বাচন দিতে হবে।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে উল্লাসরত সমর্থকদের উদ্দেশে মাদুরো বলেন, তারা আমাদের অবমূল্যায়ন করেছিল। কিন্তু জনগণ আবারো আমাদের বিজয়ী করেছে। এ সময় মাদুরোর সমর্থকরা আতশবাজি পুড়িয়ে ও শূন্যে কনফেত্তি ছুঁড়ে আনন্দ করছিল। অধিকাংশ বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করলেও সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। অপরদিকে ফ্যালকন দাবি করেন, মাদুরোর পক্ষে ভোট কারচুপি হয়েছে। তার মতে, রাষ্ট্রের ইস্যুকৃত বেনিফিট কার্ড স্ক্যানের সময় ঘাপলা হয়েছে।
নির্বাচনের এই ফল মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভোটের আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিশন এক টুইটে ভেনিজুয়েলার নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে গণতন্ত্রের জন্য অপমান হিসেবে বর্ণনা করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ তা এগিয়ে নিয়ে আসে।
জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ শুধু মাদুরোর সমর্থকদের নিয়েই গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক ইউনিটি জোটের মতে, আমাদের মধ্যে যে বিভাজন রয়েছে, তার সুবিধা নিতেই নির্বাচন এগিয়ে আনা হয়। জোটের দুই প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। অন্যরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। উল্লেখ্য, হেনরি ফ্যালকন প্রয়াত হুগো শ্যাভেজের সময় গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাদুরোর সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে বেরিয়ে তিনি ২০১০ সালে বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দেন।