ভেনেজুয়েলায় সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দ্বিতীয় দফা জয় পাওয়ায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। মাদুরোর জয়ের প্রতিক্রিয়ায় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও কানাডাসহ ১৪টি দেশ কারাকাস থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করেছে। এর আগে গত রোববার দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিপরীত অবস্থানে থেকে মাদুরোকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে।
ভোটের আগেই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) বেশ কয়েকটি লাতিন দেশ জানিয়েছিল, এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না তারা। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি, পানামা ও পেরু কারাকাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাত্রা নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।
তবে পশ্চিমাদের দিক থেকে চাপের মুখে পড়লেও মাদুরোর প্রতি সমর্থন অব্যাহত আছে চীন, রাশিয়া, এল সালভাদর ও কিউবার মতো মিত্র দেশগুলোর। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মাদুরোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ভেনেজুয়েলা যেসব সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি, সেগুলোর সমাধানে মাদুরো সফল হবেন বলে প্রত্যাশা করি। ভেনেজুয়েলার সব দলকে ‘জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখাতে আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ঘাটতিতে থাকা ভেনেজুয়েলায় এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটদানের হারও কম ছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে। সিএনই বলছে, ভোটদানের হার ছিল ৪৬ শতাংশ; যার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোট পড়েছে ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী মাদুরোর পক্ষে।
এবারের নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে মাদুরো ৫৮ লাখ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন বলে দেশটির ন্যাশনাল ইলেকটোরাল কাউন্সিল (সিএনই) জানিয়েছে; যা মোট ভোটের ৬৭ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হেনরি ফ্যালকন পেয়েছেন ২১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট, অর্থাৎ ১৮ লাখ মানুষের সমর্থন। বিরোধীদের ভোট বয়কটের মধ্যে মাদুরের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফ্যালকনও। অবশ্য ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনার আগেই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি।
