বিদেশ

মাথা কাটায় ওস্তাদ ছিল এরা!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২ এপ্রিল, ২০১৮

দলের মধ্যে যাদের কথাবার্তায় খাঁটি ব্রিটিশের টান আছে কিংবা ব্রিটিশ নাগরিক, তারা আইএসের কাছে পরিচিত ছিল ‘বিটলস’ নামে! আর এই জঙ্গি-বিটলসের দুই সদস্য আল শাফি আল শেখ এবং আলেকজান্দা কোতে ছিল মাথা কাটায় ওস্তাদ। তবে এখন তারা অনুতপ্ত। তারা বলেন, মাথা কাটা ‘উচিত কাজ’ ছিল না। তবে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নাকি আর কোনো উপায়ও ছিল না তাদের হাতে।

সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীর হাতে জানুয়ারিতে ধরা পড়ে এই দুই ব্রিটিশ জেহাদি। এখন অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়েছে তাদের। সম্প্রতি সিরিয়ার কোবানিতে কুর্দিদের একটি নিরাপত্তা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই দুই জঙ্গির কথা জানতে পারে সংবাদ সংস্থা। সে সময়ের কথোপকথনেই উঠে এসেছে আইএস জঙ্গিদের এই ‘উপলব্ধি’র কথা। আল শাফি এবং

আলেকজান্দার দাবি, আমেরিকা আর ব্রিটেন দু’দেশই ভন্ড। জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে নাগরিকত্ব হারিয়েছেন তারা। তাই দেশের কাছ থেকে ‘স্বচ্ছ বিচার’ পাবেন না বলেও অভিযোগ তাদের। হেগ-এ আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালতের কাছে বিচার চান তারা।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, সিরিয়ায় ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে আইএস ২০ জনেরও বেশি মার্কিন নাগরিককে পণবন্দি করেছিল। যাদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলি-ও। তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাত আইএস। সঙ্গে মাঝে মাঝেই সেই নির্যাতন অথবা নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে দিত ইন্টারনেটে। ওই সময় সিরিয়ার আইএস ‘বিটলস’-এ সক্রিয় ছিল এই দুই জঙ্গি।

আর এই জঙ্গি-বিটলসসহ বাকি বৃহৎ গোষ্ঠীর নেতা ছিল মহম্মদ এমওয়াজি। ‘জেহাদি জন’ বলেই জনপ্রিয় ছিল সে। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন, ব্রিটিশ এবং জাপানি সাংবাদিক মিলিয়ে মোট সাত জনের মাথা কাটার অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, কিছু ত্রাণকর্মী ও সিরীয় সেনাকেও মেরেছেন তারা। মাথা কাটার ভিডিও ছড়ানোর জন্যও কাজ করতেন তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads