মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবার মঙ্গলের ভূমিকম্প নিয়ে গবেষণা চালাবে। এ লক্ষ্যে সংস্থাটির ‘ইনসাইট’ নামের একটি মহাকাশ অভিযান শুরু করেছে। এর অধীনে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছে গতকাল শনিবার। আগামী নভেম্বরে মহাকাশযানটির মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের কথা রয়েছে। এটি সেখানকার ভূ-পৃষ্ঠে একটি সিসমোমিটার স্থাপন করবে, যা মঙ্গলের ভূমিকম্পের খবর পাঠাবে পৃথিবীতে।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিমান ঘাঁটি থেকে অ্যাটলাস রকেটে করে মহাকাশযানটি শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করেছে।
মঙ্গলের ভূগর্ভস্থ শিলার স্তরগুলো কীভাবে বিন্যস্ত, সেসব তথ্য জানা যাবে কম্পনের তথ্য বিশ্লেষণ করে। ইনসাইট মিশনের প্রধান অনুসন্ধানকারী ড. ব্রুস বেনার্ডট বলেন, ‘মঙ্গলের মধ্য দিয়ে যখন সিসমিক তরঙ্গ প্রবাহিত হবে, সেগুলো চলার পথের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে।’ তিনি আরো জানান, মঙ্গলের অনেকগুলো ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়ার পর সেগুলো একত্রিত করে মঙ্গলের অভ্যন্তরের ত্রিমাতৃক মডেল তৈরি করা হবে।
তবে লাল গ্রহে সিসমোমিটার পাঠানোর ঘটনা নাসার জন্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৭০ সালে ভাইকিং নামের একটি ল্যান্ডারের মাধ্যমে একটি সিসমোমিটার পাঠানো হয়েছিল।
নাসা জানিয়েছে, এক বছর সময়ের মধ্যে মঙ্গলে কতগুলো ভূমিকম্পের খবর সংগ্রহ করা যাবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বেশ কয়েক ডজন ভূমিকম্পের খবর পাওয়া যেতে পারে এ সময়ে। তবে এসব ভূমিকম্পের মাত্রা খুব বেশি হবে বলে মনে করছে না নাসা। এগুলোর মাত্রা হতে পারে ৩ বা এর কম।