টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনায় আশঙ্কাহারে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় চারিদিকে থৈ থৈ করছে বন্যার পানি। তলিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভেঙ্গে গেছে বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তাঘাট। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কক্ষে এখন পানি, এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। যদিও বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারনে দেড় বছর যাবৎ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকার আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে দ্রুত বন্যার পানি নেমে না গেলে বন্যাকবলিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাসকার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বন্যায় উপজেলায় ৩৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩ টি মাদরাসা পানিবন্দি রয়েছে। পৌর এলাকায় ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাবসারা ইউনিয়নে ১৮টি, অর্জুনায় ১৩ টি, গোবিন্দাসী, নিকরাইল ও অলোয়া ইউনিয়নে ২টি করে প্রতিষ্ঠান পানিবন্ধি রয়েছে।
গেল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর এলাকায় বেতুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির চারিদিকে বন্যার পানি থৈ থৈ করছে। পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তাটি। অন্যদিকে গাবসারা চরাঞ্চলের ১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন পানির নিচে। এরই মধ্য গতকাল থেকে যমুনায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ভোগান্তি কিন্তু কমেনি।
অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি জহুরুল জানান, বিদ্যালয়ে গেল কয়েক বছর ধরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় অনেক বিপাকে রয়েছি। আশা করছি পানি কমে গেল বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করতে পারবো।