ভাষার জেনেটিক মলেড প্রণয়নে ফলের মাছির সহায়তা!

মানুষের জন্য তুলনামূলক ক্ষতিকর বলেই খুব একটা গবেষণাও হয়নি মাছি নিয়ে

ছবি : ইন্টারনেট

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ভাষার জেনেটিক মলেড প্রণয়নে ফলের মাছির সহায়তা!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ জুলাই, ২০১৮

মাছি প্রাণিজগতের ইনসেক্টা পর্বের ক্ষুদ্র এক সদস্য। মানুষের জন্য তুলনামূলক ক্ষতিকর বলেই খুব একটা গবেষণাও হয়নি প্রাণীটি নিয়ে। তাই তাদের স্বভাব, আচরণ, জীবনযাপন নিয়ে খুব একটা জানাও নেই মানুষের। তবে কৌতূহলের জন্য হলেও একে নিয়ে গবেষণা একেবারে কম হয়নি। আগে এক গবেষণায় দেখা যায়, ফলের মাছিরা তাদের কলোনিতে থাকা নারী মাছিদের ডিম রক্ষা বা তাদের দখলে থাকা খাবার রক্ষা করতে লড়াই পর্যন্ত করে। নিজেদের শরীরের চেয়ে কয়েক গুণ বড় বোলতাকে হটিয়ে দেয় দল বেঁধে। নিজেরা দল বাঁধতে পরস্পর যোগাযোগও করে। ওদের আছে নিজস্ব ভাষাও। তবে বড় কথা হলো, মানুষের ভাষার বিষয়ের গবেষণায়ও এই ফলের মাছির ভূমিকা আছে।

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ফলের বোলতা আগে অন্য কোনো মাছির সঙ্গে সহবাস করেছে বা পরস্পরের ভাষা শিখেছে যেসব বোলতার সঙ্গে মাছিরা বার্তা বিনিময়ের চেষ্টা করে।

যুক্তরাজ্যের ডার্টমাউথের গেইসেল স্কুল অব মেডিসিনের একদল গবেষক করেছেন সেই গবেষণাটি। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক বালিন্তে জে কাশ্চোহ বলেন, পরজীবী এই বোলতারা ফলের মাছিদের লার্ভার মধ্যেই নিজেদের ডিম প্রবেশ করিয়ে দেয়। এটা নিয়েই মাছি আর বোলতার লড়াই হয়।

তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো মাছির লার্ভার সঙ্গে বেড়ে ওঠা বোলতা যদি ওই কলোনিতেই থাকে বা কোনো মাছির সঙ্গে যৌন মিলন করে এবং মাছি ও বোলতা যদি পরস্পরের ভাষা শিখে নেয় তবে তারা সরাসরি আক্রমণে না গিয়ে বার্তা বিনিময়ের চেষ্টা করে।

অধ্যাপক বালিন্তে ডেইলি সায়েন্স নামের পত্রিকাকে বলেন, এ গবেষণা একদিকে যেমন মাছিদের মধ্যকার সফল যোগাযোগের প্রধানতম নিয়ামকটি খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে, অন্যদিকে সব ধরনের ভাষার বিবর্তনের একটি জেনেটিক মলেড প্রণয়নেও সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads