বড়ই চাষে ৩ গুণ লাভ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

বড়ই চাষে ৩ গুণ লাভ

  • কাজী আব্দুল কুদ্দুস, রাজবাড়ী
  • প্রকাশিত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

রাজবাড়ীতে বড়ই চাষে বিঘাপ্রতি প্রায় ১০০ মণের অধিক ফলন পাচ্ছেন চাষিরা। খরচের তুলনায় লাভও হচ্ছে তিন গুণ। তাই জেলায় দিন দিন বাড়ছে বড়ই চাষির সংখ্যা। কাশ্মিরি, নারকেলি, বাউকুল, আপেল কুল, বল সুন্দরীসহ বিভিন্ন জাতের কুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এ জেলায়। চাষিরা জানিয়েছেন, বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকা সেখানে প্রায় দেড় লাখ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে বড়ই। এতে লাভের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ।

জেলা সদরের উদয়পুর গ্রামের কুলচাষি আব্দুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালে বিদেশ থেকে ফিরে এসে ২২ শতাংশ জমিতে বড়ই চাষ শুরু করি। প্রথম বছরেই লাভ হয় এক লাখ টাকা। এরপর বিভিন্ন জাতের বড়ই চাষ শুরু করি। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান, কাশ্মিরি, নারকেলি, আপেল ও বাউ এবং থাইকুল চাষ করছি। তবে নারকেলি কুল ও আপেল কুলের চাহিদা বেশি এর বাজারদর ভালো থাকায় এ দুটি জাতের কুলগাছের আবাদ বেশি করেছি। প্রতি বছর বড়ই গাছের পরিচর্যা করতে কয়েক লাখ টাকার মতো খরচ হয়। বড়ইয়ের মৌসুম শেষ হলে সব গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়া এবং শ্রমিক, সার, ওষুধ, কীটনাশক ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয় ফলন ভালো পাওয়ার জন্য। আমাকে দেখে অনেকেই বড়ই চাষ শুরু করেছেন।

রাজবাড়ী জেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের লহ্মীপুর গ্রামের কাসেম গত বর্ষা মৌসুমে ১২০ শতাংশ জমিতে বড়ইয়ের চারা রোপণ করেন। নিয়মিত পরিচর্যা আর যত্নে মাস ছয়েকের মধ্যেই বড়ই গাছে ফুল আসে। সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপেল কুল, বাউকুল, নারকেল কুল ও কাশ্মিরি আপেল কুল-এই চার জাতের বড়ই শোভা পাচ্ছে তার বাগানে। তিনি বলেন, সাধারণত এত অল্প সময়ের মধ্যে গাছে বড়ই আসে না। তারপরও আমার বাগানে ভালো বড়ই ধরেছে। বাজারে এসব বড়ইয়ের চাহিদাও বেশ ভালো। স্থানীয় খুচরা বাজারে ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেক জানান, বড়ই চাষে কৃষকেরা খরচের তিন গুণ লাভবান হচ্ছেন। বেকার যুবকেরা বড়ই চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমরা কৃষকদেরকে বড়ই চাষাবাদে উৎসাহ প্রদান করছি এবং তাদেরকে সুপরামর্শ দিচ্ছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads