রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক দিনাজপুর সদর উপজেলার পাঁচকুড়হাট শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন আবুল কালাম আজাদ নয়ন। অফিস শেষে অবসরে বাড়ির ছাদে প্রকৃতির প্রেমে নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন বাগান। আঠারো বছর ধরে আড়াই হাজার বর্গফুটের বাড়ির ছাদবাগানটিতে গড়ে উঠেছে ফুল, ফলদ ও ওষধিসহ ১৩২ প্রকারের গাছের সমন্বয়ে বিশাল একটি বাগান। গাছগুলোর যত্নও করেন নিজে।
বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, আজাদ নয়ন অফিস থেকে ফিরে গায়ের কাপড় না খুলেই গেছেন ছাদ বাগানে। সেখানে কোন গাছের কি সমস্যা, কোনটাতে পানি দিতে হবে আর কোনটাতে নিড়ানি করতে হবে এগুলো নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে দৃষ্টিনন্দন এই ছাদ বাগানটির অনেক গাছেই ঝুলে আছে দেশি-বিদেশি হরেক রকমের পাকা, আধাপাকা কিংবা কাঁচা ফল। গাছে ঝুলে আছে ড্রাগন ফল, জাম্বুরা, কয়েক প্রকার কমলা, মালটা, বাতাবি লেবু, আঙ্গুর, কয়েক ধরনের পেয়ারা, আম, ডালিম, করমচা, তেঁতুল, মিষ্টি তেঁতুল, অড়বড়াই, পানি জাম, সাদা জাম, সফেদা, আমড়া, শরিফা মেওয়া, আতা ফলসহ অসংখ্য ফল। আছে নাইট কুইনসহ অনেক প্রকার ফুলের গাছও। বিদেশি গাছের মধ্যে রয়েছে অ্যাভোকেডো, রাম্বুতান, করোসল, বরোরা, জয়তুন, ভিয়েতনামের বারমাসি কাঁঠাল, আপেল, থাই বারমাসি বাদামি লেবু, থাই কদবেল, কালো আঙ্গুর, সৌদি আরবের খেজুর গাছ, আলু বুখারাসহ বিভিন্ন প্রজাতি। গাছের যে কোনো সমস্যায় তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে থাকেন।