বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের বকুলতলী গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা গোপন রেখে ধর্ষকের ভাই, ছেলে ও ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিচার করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে দফারফা করা হয়েছে।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র, ধর্ষিতা শিশুর মা ও বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন। জানা গেছে, ৩১ মার্চ ভোরে একই বাড়ির ইদ্রিস (৬০) নামের এক লম্পট শিশুটিকে ঘরে একলা পেয়ে পাশবিক নির্যাতন করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখে। শিশুটির মা ও বাবার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ থাকায় সে বৃদ্ধা দাদীর কাছে থাকতো। ঘটনার সময় দাদী ঘরের বাহিরে থাকায় সহজেই ধর্ষক পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে ধর্ষক ইদ্রিসের দুই ভাই, ছেলে হাসিব, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, সাহাবুদ্দিন, পান্না প্রমুখ মেয়েটির দাদিকে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য বলে। পরে সোমবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ইদ্রিসের ছেলে শিশুটিকে বরগুনায় এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। শিশুটির মা পপি আক্তারকে খবর দিয়ে এনে সোমবার রাতে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ফয়সালা করা হয়। শিশুটির মা পপি আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইদ্রিসের ভাই, ছেলে ও মেম্বার, কামাল, পান্না, সাহাবুদ্দিন সহ কয়েকজন আমাকে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য বলে। আমি এক লক্ষ টাকা পেয়ে মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে এসেছি।
এ ব্যাপারে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছি। মেয়ের অভিভাবকদের থানায় এসে অভিযোগ জানাতে বলেছি। অভিযোগ না পেলে আমরা আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না।