জনৈক ব্যক্তি জুমার দিন মসজিদে নবাবিতে দারুল কাজার দিকে স্থাপিত দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। এ সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবাহ দিচ্ছিলেন। সে নবীজির দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, (অনাবৃষ্টির ফলে) মাল-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুহাত উঠিয়ে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন।’ [৩ বার]।
আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর শপথ, এ সময় আসমানে কোনো মেঘ বা মেঘের চিহ্নও ছিল না। আর আমাদেরও সালই পাহাড়ের মাঝে কোনো ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না। (ক্ষণিকের মধ্যে) তার পেছন থেকে ঢালের ন্যায় অখণ্ড মেঘ উদিত হলো। একটু পর তা মাঝ আকাশে এলে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল এবং বৃষ্টি শুরু হলো। বর্ণনাকার বলেন, এরপর আল্লাহর শপথ আমরা সপ্তাহকাল যাবৎ আর সূর্যের মুখ দেখিনি।
অতঃপর পরবর্তী জুমায় আবার এক ব্যক্তি ঐ দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবাহ দিচ্ছিলেন। সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, মাল-সম্পদ সব বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আবার হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন, ‘আল্ল-হুম্মা হাওলানা।’ ‘হে আল্লাহ আমাদের অবস্থা পাল্টে দাও, আমাদের ওপর এ অবস্থা চাপিয়ে দিও না। হে আল্লাহ, পাহাড়ি এলাকায়, মালভূমিতে মাঠের অভ্যন্তরে ও গাছপালা গজানো স্থলে তা ফিরিয়ে নিয়ে যাও।’ এরপর বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গেল। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৯৬৩)।
শিক্ষা : বৃষ্টির প্রয়োজন হলে নবীজির পদ্ধতিতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে আল্লাহ কবুল করবেন।