বুড়িগঙ্গায় গুড়িয়ে দিলো এমপি আসলামের পাওয়ার প্লান্ট

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

মহানগর

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

বুড়িগঙ্গায় গুড়িয়ে দিলো এমপি আসলামের পাওয়ার প্লান্ট

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩ মার্চ, ২০২০

বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষনমুক্ত করতে চলমান অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের বিশেষ অভিযানের ১৮তম কার্যদিবস। এ সময় তীর দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ ২৩ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা তুরাগনদীর সংযোগস্থল চরওয়াশপুর পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার মিলনস্থল বছিলা ব্রীজের এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানে উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে আছে পাকা একতলা ভবন ০৩ টি , পাকা দেয়াল ১০টি,অন্যান্য স্থাপনা ১০টিমোট ২৩ টি , অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে ৩ একর জমি উদ্ধার করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদেন উপসচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম।

এ সময় তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার মিলনস্থল বছিলা ব্রীজের পশ্চিম পাশে নদী দখল করে সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মাইশা পাওয়ার প্লান্টসহ আশপাশে কিছু অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয় । উচ্ছেদে বাধা দেওয়ায় মাইশা পাওয়ার প্লান্টের এক কমকর্তাকে আটক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান বলেন,অভিযানের ছিয়াশিতম দিনে প্রায় বুড়িগঙ্গার দখলকৃত দেড় একর জমি উদ্ধার করা হয়। দখলকারী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবেই। কে বা কারা দখল করেছে সেটি দেখা হচ্ছে না বরং তীর দখলমুক্ত করাই বিআইডব্লিউটিএর মূল উদ্দেশ্য।

বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ন পরিচালক ও নদী বন্দর নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন,বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত চলমান উচ্ছেদ অভিযানের ১৮তম দিবস এর বিশেষ দ্বিতীয় পর্ব অভিযান চলছে তুরাগনদীর সংযোগস্থল চরওয়াশপুর পর্যন্ত পরিচালনা করে ২৩ টি স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছি। আগামীকাল ও উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

এ বিষয়ে প্লান্ট মালিক সংসদ সদস্য আসলামুল হক জানান, নিয়ম মেনেই এই পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করা হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা নেয়ার কথাও জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads