উপাচার্যের উপস্থিতির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক উপস্থিতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

বাংলাদেশ

উপাচার্যের উপস্থিতির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান

  • বেরোবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩ মার্চ, ২০২০

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক উপস্থিতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় উপাচার্যের দফতরের সামনে উপাচার্যকে 'দুর্নীতিগ্রস্থ ও স্বেচ্ছাচারী' উল্লেখ করে দফতরের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।

এ বিষয়ে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মতিউর রহমান বলেন ‘উপাচার্যের অনেকগুলো অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অনুপস্থিতি অন্যতম। একজন উপাচার্য কি পরিমাণ অনুপস্থিত থাকলে তাকে উপস্থিত রাখার জন্য একটি হাজিরা বোর্ড স্থাপনসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে হয়।

তাকে স্মারকলিপি দিতে না পেয়ে সেটি ব্যানার বানিয়ে ঝুলিয়ে দিতে হয়। আমরা চাই উপাচার্য নিয়মিত ক্যাম্পাসে উপস্থিত থেকে ক্যাম্পাস পরিচালনা করুক।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসনীম হুমায়দা বলেন, উপাচার্য ক্যাম্পাসে না থাকা মানে দুজন ডিন, একজন বিভাগীয় প্রধান, ট্রেজারার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক না থাকা। অর্থাৎ এসব পদ তিনি একাই দখল করে আছেন।

আবার উপাচার্য না থাকার মানে রেজিস্ট্রার এবং প্রকল্প পরিচালক না থাকা। কারণ উপাচার্য যেভাবে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন, তারা দুজনও একই কায়দায় অনুপস্থিত থাকছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘উপাচার্যকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকবার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগের শর্ত অমান্য করে দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকছেন তিনি। তিনি একাই অর্ধশত কোর্স পড়াবার দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু কোর্সগুলোর ক্লাস না নিলেও টাকা নেন তিনি। এটাতো হতে পারে না।’

রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন ভিসি ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকবেন এটি মেনে নেয়া যায় না। সে কারণে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের দফতর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, নীল দলের সভাপতি ড. নিতাই কুমার ঘোষ, সাবেক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ক্যাম্পাসে না থাকায় একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads