এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। এই খাতেই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বড় রফতানিকারক দেশ হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির উদ্যোগে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইসিটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, আমরা সে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছি। এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনার খাত হচ্ছে আইসিটি সেক্টর। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে বিশ্বের বাজারে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকে থাকব।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সবকটি ইউনিয়ন ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে। দেশের প্রত্যেকটি বাড়ি ২০২১-এর মধ্যে থাকবে কানেক্টিভিটির আওতায়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক স্থাপন (ফোরজি) ছিল আমার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, প্রধানমন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রীসহ সবার সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এখন সামনে আরো একটি চ্যালেঞ্জ হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। আবহাওয়া পরিবেশ ভালো থাকলে আগামী ৭ মে তা সফলভাবে সম্পন্ন হবে। আগামী আগস্ট থেকেই এর সুফল পাওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতি উল্লেখ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন স্মার্টফোন ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন রকম যন্ত্রাংশ দেশেই প্রস্তুত হচ্ছে। নেপাল, নাইজেরিয়া ও পূর্ব তিমুরে আমাদের দেশে তৈরি কম্পিউটার ও স্মার্টফোন রফতানি হচ্ছে।
দেশের প্রযুক্তি খাত আরো সম্প্রসারিত করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগে আপনারা বিদেশি কোম্পানির রিটেলার হয়ে কমিশন নিয়ে ব্যবসা করেছেন, এখন সেখান থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। এখন থেকে দেশি কোম্পানির তৈরি কম্পিউটার বিক্রি করতে হবে, তাহলেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, মহাসচিব মোশাররফ হোসেন সুমন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সিলেট শাখার চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী।